উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হচ্ছে পৌরসভা ভোট, বিস্ফোরক দাবি মুকুলের! কলকাতা রাজ্য February 21, 2020 এতদিন রাজ্যের পৌরসভা ভোট কেন হচ্ছে না, তা নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টিকে। এমনকি দ্রুত যাতে সেই পৌরসভা নির্বাচন হয়, তার ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তাঁরা। তবে এবার যখন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে সেই পৌরসভা ভোট নিয়ে দিনক্ষণ জানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, ঠিক তখনই তা নিয়ে আপত্তি আসছে গেরুয়া শিবিরের তরফে। কিন্তু কিসের এই আপত্তি! যেখানে বিজেপি পৌরসভা ভোট নিয়ে এত আগ্রহী ছিল, সেখানে তারা এখন আপত্তি জানাচ্ছেন কেন! জানা গেছে, এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ অর্থাৎ 12 এপ্রিল কোলকাতা এবং হাওড়া পৌরসভার নির্বাচন করাতে চায় রাজ্য সরকার। অন্যদিকে 26 এবং 27 এপ্রিল বাকি পৌরসভাগুলো নির্বাচন করাতে ইচ্ছুক রাজ্য। কিন্তু এতেই প্রবল আপত্তি ভারতীয় জনতা পার্টির। যেখানে তাদের আপত্তির মূল কারণ, এই সময় যদি পৌরসভা নির্বাচন করা হয়, তাহলে পরীক্ষা থাকার কারণে তারা মাইক ব্যবহার করতে পারবে না। আর যদি তা ব্যবহৃত না হয়, তাহলে প্রচারের ক্ষেত্রে অনেকটাই বাধা আসবে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, এদিন এই ব্যাপারটিকে তুলে ধরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে বিজেপির এক প্রতিনিধিদল। যেখানে উপস্থিত ছিলেন, বিজেপি নেতা মুকুল রায়, জয়প্রকাশ মজুমদার এবং শিশির বাজোরিয়া। তবে বিজেপির এই প্রতিনিধি দলে তিনি নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে যাওয়ার আগে তারা কমিশনের কাছে কোন ব্যাপারটি তুলে ধরবেন, তা নিয়ে নানা মহলে নানা জল্পনা তৈরি হলেও, শেষ পর্যন্ত তাদের মুখ থেকেই সেই ব্যাপারটি শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন সকলে। অবশেষে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে বাইরে বেরিয়ে এসে এই ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। এদিন তিনি বলেন, “মার্চে বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষা শেষ হচ্ছে। তারপর এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোট হলে বিরোধীরা প্রচারের সময় পাবে না। তাই পৌরসভা ভোট পেছানোর দাবি জানানো হয়েছে।” আর মুকুল রায়ের এই কথা শুনেই একাংশের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার যে, বিজেপি চাইছে, পৌরসভা নির্বাচনে ভালো ফল করতে। কিন্তু ভালো ফল করতে গেলে ভালো প্রচার যে অবশ্যম্ভাবী, তা জানেন প্রত্যেকেই। সেদিক থেকে যদি পরীক্ষা চললে এবং তারপরে যদি এই নির্বাচন হয়, তাহলে সত্যিই অনেকটাই প্রচারের ক্ষেত্রে বাধা আসবে। আর শাসকদলের হাতেই সমস্ত ক্ষমতা থাকায় তারা অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ পাবে বলে দাবি একাংশের। আর এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের দিনক্ষণ যাতে একটু ভাবা হয় এবং যাতে আরও পিছিয়ে দেওয়া যায় তার জন্য কমিশনের কাছে আবেদন করলেন মুকুল রায়। কিন্তু মুকুলবাবু এবং বিজেপির প্রতিনিধিদলের এই আবেদন কতটা মান্যতা পায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -