রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বড়রকমের বাড়িয়ে এবার করোনা নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে বসল কলকাতা হাইকোর্ট কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য April 17, 2020 নির্বাচন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা বাংলায় প্রতিটা ক্ষেত্রেই আদালত শেষ কথা বলে বিভিন্ন বিষয়ে আদালতের দরজায় গিয়ে শেষ হয়। কিন্তু মহামারীর মতো স্পর্শকাতর বিষয়েও যে আদালত নির্দেশ দেবে, তা সত্যিই কল্পনা করতে পারেননি কেউ। প্রথম দিকে করোনা মোকাবিলা করতে রাজ্য সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেছিলেন সকলেই। তবে যত দিন গড়াতে শুরু করে, ততই এই ব্যাপারে রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব হয় একাংশ। যেখানে বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয় যে, রাজ্য সরকার করোনা আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা চেপে যাচ্ছে। আর এমন একটা অভিযোগ নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আর এবার সেই মামলাতেই রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণানের ডিভিশন বেঞ্চ। এখন দেখার বিষয়, রাজ্য সরকার এই ব্যাপারে আদালতের কাছে কি বক্তব্য পেশ করে। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার জরুরী ভিত্তিতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই মামলার শুনানি পর্ব শুরু হয়। যেখানে একদম প্রথমে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব ডাঃ সৌমিত্র মোহন একটি রিপোর্ট পেশ করেন। আর এরপরই আদালতের কাছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান মামলাকারী চিকিৎসক ফুয়াদ হালিমের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকেল রিসার্চ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মেনে কাজ করছে না। করোনায় আক্রান্ত এবং কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে।” আর এরপরই এই ব্যাপারে রাজ্যকে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের পক্ষ থেকে। তবে ভিডিও বার্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিজের বক্তব্য উপস্থাপিত করতে পারেনি রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। কিন্তু শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। আর সেদিন তিনি নিজের বক্তব্য জানাবেন বলে খবর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন বিষয়ে নানা সময় আদালতে চূড়ান্ত ফয়সালা হতে দেখা যায়। কিন্তু মহামারীর মত স্পর্শকাতর বিষয়েও যে এই ঘটনার সাক্ষী থাকতে হবে বঙ্গবাসীকে, তা সত্যিই কল্পনার বাইরে ছিল। তবে অনেকে আবার বলছেন, রাজ্য সরকার যদি প্রথম থেকেই সঠিকভাবে করোনায় আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা জানাত, তাহলে এই দিন দেখতে হত না। বিশেষ করে, বিরোধীরা কিন্তু প্রতিদিনই সুর চড়িয়ে দাবি করছেন, বাংলায় সঠিক ভাবে তথ্য রাজ্য সরকার না দেওয়ায়, আক্রান্তের পরিমান নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরী হচ্ছে। ফলে, সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছেন – ঠিক কোন জায়গায় আক্রান্তের অবস্থান কেমন, ফলে সেই অনুযায়ী সাবধানতাও নিতে পারছেন না। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, শুক্রবার এই ব্যাপারে আদালত আবার কি নির্দেশ দেয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -