এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > গোটা দেশ চাইলেও চীনা দ্রব্য বয়কট চাইলেও, এই প্রাক্তন মুখমন্ত্রীর গলায় ঝরে পড়ছে বিদ্রূপ!

গোটা দেশ চাইলেও চীনা দ্রব্য বয়কট চাইলেও, এই প্রাক্তন মুখমন্ত্রীর গলায় ঝরে পড়ছে বিদ্রূপ!


করোনা পরিস্থিতির জেরে সারা বিশ্বের কাছে রীতিমতো ভিলেন প্রমাণিত হয়েছে চীন। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক স্তরে রীতিমতো কোণঠাসা অবস্থায় পৌঁছে গেছে চীন। অনেক দেশই চীনের সঙ্গে সমস্ত রকম সম্পর্ক ত্যাগ করতে চাইছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও জনসমক্ষে নাম না করে চীনা দ্রব্য বয়কট এর কথা বলেছেন। তিনি করোনা প্রসঙ্গে জনগণের সামনে বক্তব্য রাখতে এসে লোকাল এর জন্য ভোকাল হওয়ার কথা বলেন। লোকাল জিনিস বা স্বদেশী জিনিসের ওপর বিশ্বাস রাখার কথা তিনি বলেন।

এদিকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই ভারত এবং চীন বর্ডারেও পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তেজনাপূর্ণ বলে জানা গেছে। অন্যদিকে সম্প্রতি থ্রি ইডিয়টস এর র‍্যাঞ্চো চরিত্রটি যাঁর ওপর নির্ভর করে তৈরি করা হয়েছে সেই বিখ্যাত লাদাখের শিক্ষক তথা সমাজসেবী সোনম ওয়াংচুক সাধারণ জনগণকে  চাইনিজ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার না করার আবেদন করেন। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে অভিনেতা মিলিন্দ সোমন সাথে সাথে তাঁর মোবাইল থেকে চাইনিজ অ্যাপ টিকটককে বিদায় জানান। এই খবরটি তিনি একটি ভিডিওর মাধ্যমে শেয়ার করেন।

এবং সেখানেই কাশ্মীরি নেতা ওমর আব্দুল্লাহ নিজের বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু নিজের বিরক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে যে কথাটি ওমর আব্দুল্লাহ লিখেছেন সেটি চরম বিতর্কের জন্ম দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি লিখেছিলেন, “সমস্যাটির সমাধান হয়েছে। টিক-টক এখন নিশ্চিত করবে যে লাদাখের যে জায়গাটি দখল করা হয়েছে সেখানে চীন সরিয়ে নেবে।” অন্যদিকে মিলিন্দ সোমনের সাথে সাথে বলিউডের একঝাঁক তারকা টিকটককে নিজেদের মোবাইল থেকে বাদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।

অন্যদিকে ওমর আব্দুল্লাহর বক্তব্য প্রসঙ্গে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাই কমান্ডাররা জানিয়েছেন স্পষ্টভাবে, চীনা সেনাদের অনুপ্রবেশ থেকে বাধা দিতে তাঁরা সব সময় কঠোর ভাবে তৈরি আছে। তবে লাদাখে চীনা সৈন্যরা ভারতীয় ভূমি দখল করেছে বলে যে বিষয়টি প্রকাশ হচ্ছে তা সর্বৈব মিথ্যা। তবে ভারত চীন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে ভারতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, এই সমস্যাটি কূটনৈতিক ভাবে সমাধান করা উচিত। অন্যদিকে টিকটক নিয়ে বলিউড তারকা আরশাদ ওয়ারসিও জানান, তিনিও সচেতনভাবেই চিনা দ্রব্যের ব্যবহার বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে তিনি এও বলেছেন, যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে সাধারণের ব্যবহার্য জিনিসের মধ্যে বেশিরভাগই চাইনিজ, তাই পুরোপুরি চীনা সংস্পর্শ থেকে বেরিয়ে আসতে কিছুটা হয়তো সময় লাগবে। তবে সবাই যদি উদ্যোগী হয়, তাহলে তা মোটেই অসম্ভব নয়। অন্যদিকে টেলি অভিনেত্রী কামিয়া পাঞ্জাবিও পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, টিকটক নামক অ্যাপটি তিনি কোনওদিনই ব্যবহার করেন না। বলিউডের আরেক অভিনেতা রণবীর সোরেও চীনা পণ্য বর্জনের ক্ষেত্রে সোনম ওয়াংচুকের মন্তব্যকই সমর্থন জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত সোনম ওয়াংচুক বলেছিলেন, “ওদের অর্থনীতিতে সবার আগে মোক্ষম ঘা দেওয়া প্রয়োজন। চিনা অ্যাপও মোবাইল থেকে দূর করুন।” তবে মিলিন্দ সোনমের টিকটক ত্যাগের ভিডিও নিয়ে যেভাবে ওমর আব্দুল্লাহ তাঁর বিরোধিতা করেছেন তাতে সাধারণ মানুষ যথেষ্ট ভাবে তাঁকেও বিব্রত করেছে চীনের প্রতি তাঁর সহানুভূতির কারণ জানতে আগ্রহী হয়ে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধুমাত্র চীনা অ্যাপ বর্জন করলেই চীনা অর্থনীতিতে আঘাত হানা যাবে না।

বরঞ্চ দৈনিক জীবনে চীনা দ্রব্য ব্যবহারে যদি কঠোর হওয়া যায়, তাহলে চীনা অর্থনীতিতে কিছুটা হলেও ছাপ পড়তে বাধ্য। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, করোনা ও নতুন করে ভারত চীন সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কারণে দেশের মানুষ এই মুহূর্তে চীনের ওপর যথেষ্ট ক্রোধান্বিত। তাই প্রধানমন্ত্রীর আহবানে লোকাল দ্রব্যের ওপরেই সাধারণ মানুষ বিশ্বাস রাখতে আগ্রহী হচ্ছে সম্প্রতি। আপাতত বিশ্বের অন্যান্য দেশ সহ ভারতের কাছে নাস্তানাবুদ যে চীন হচ্ছে, সে কথা অনস্বীকার্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!