যুবক খুনে প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুর হতেই মৃতের পরিবার জানাল – রাজনীতির যোগ নেই! বর্ধমান রাজ্য June 12, 2020 সম্প্রতি প্রকাশ্য রাস্তায় সংঘর্ষে যুবকের মৃত্যুর ঘটনার পর এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল। যার পরবর্তীতে রীতিমত চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল এলাকায়। তবে নিহত যুবক গৌতম দাসের পরিবারের পক্ষ থেকে এবার জানিয়ে দেওয়া হল, এই ঘটনায় কোনোরূপ রাজনীতির যোগ নেই। ফলে অভিযুক্ত হিসেবে এই তৃণমূল নেতার বাড়িতে ভাঙচুর চালানো নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠতে শুরু করল নানা মহলে। জানা যায়, গত বুধবার জিটি রোডে কাটাপুরের মোড়ের কাছে হাতাহাতির ঘটনায় বাদশাহি রোডের বাসিন্দা বছর বাইশের গৌতম দাস আক্রান্ত হন। আর এরপরই বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এদিকে এই ঘটনার পর বর্ধমানের এক নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা বিকাশ মন্ডল সহ তার অনুগামীদের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় জনসাধারণের পক্ষ থেকে। যার ফলে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। অনেকেই মনে করেন, সাধারণ বাসিন্দারা এই ঘটনায় তৃণমূল নেতার বাড়িতে ভাঙচুর চালালে, এই যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূল নেতা জড়িত রয়েছেন। তবে এবার নিহত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকেই যেভাবে এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হল, তাতে নতুন করে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ল সর্বত্র। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা যায়, বুধবার রাতে নিহত যুবক গৌতম দাসের দাদা আনন্দ দাস পুলিশকে জানিয়েছেন, খেলতে যাওয়ার নাম করে তার ভাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল। কারও সঙ্গে কোনো গোলমালের কথা তাদের জানা নেই। সন্ধ্যায় রাস্তার উপরে তার ভাই পড়ে রয়েছে খবর পেয়ে তারা তিনজন গিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি আরও বলেন, “ভাই কোনো রাজনীতি করত না। পড়াশোনা করত। ভিডিওগ্রাফি করে নিজের পড়াশোনা সংসারের খরচ যোগাত। সাতপাচে না থাকা একটি ছেলে কেন মারা হল, তা বুঝতে পারছি না।” অর্থাৎ নিহত যুবকের দাদা আনন্দ দাস এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে, তার ভাই রাজনৈতিক কারণে খুন হননি। আর আনন্দবাবু একথা বললেও, যেভাবে গ্রামবাসীরা যুবকের মৃত্যুর পরে তৃণমূল নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন, তাতে সেই তৃণমূল নেতা এখন কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন এই প্রসঙ্গে এলাকায় তৃণমূলের শ্রমিক নেতা সুরেন্দ্র শর্মা বলেন, “গৌতমকে সেভাবে মিটিং মিছিল করতে দেখিনি। কয়েক জন দুষ্কৃতী তৃণমূলের নাম ভাঙিয়ে একটা ভালো ছেলেকে মেরে ফেলল।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে তৃণমূলের জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক খোকন দাস বলেন,”যে কোনো কিছুকেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে প্রচার করা হচ্ছে। যে ঘটনা ঘটেছে, তা দুর্ভাগ্যজনক। প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক। তবে এই যুবকের মৃত্যুতে বিকাশ মণ্ডল নামে যে তৃণমূল নেতার বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, নিহত যুবকের মৃত্যুর সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই বলে জানানোর পর মুখ খুলেছেন সেই বিকাশ মণ্ডল। এদিন তিনি বলেন, “এইসব ঘটনার বিন্দুবিসর্গ আমি জানি না। গৌতম ভিডিও ফটোগ্রাফি করতে শুনলাম। হিংসায় আমার নাম জড়িয়ে বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।” এখন গোটা পরিস্থিতি ঠিক কোথায় গিয়ে মোড় নেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -