ফের বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগে হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে! জোর চাঞ্চল্য রাজ্যে! কলকাতা রাজ্য June 21, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে দুর্নীতিতে বিদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেস। এই অভিযোগ তুলে ময়দানে নেমে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিজেপির অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে পাল্টা প্রচার করছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের নেতাকর্মীদের বার্তা দেওয়া হচ্ছে, কোনমতেই মানুষের সাহায্য নিয়ে কোনো দুর্নীতি করা যাবে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও নানা অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় ঘাসফুল শিবিরের অস্বস্তি ক্রমাগত বাড়ছে। এবার মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে এক ব্যক্তির আবাস যোজনার টাকা অন্যজনকে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। যাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বঞ্চিত সেই উপভোক্তা হরিশ্চন্দ্রপুর প্রশাসনের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ, এই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য উপভোক্তা আনসারুল সাহেবের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা দেওয়া হবে বলে কিছু কাগজপত্র চান। সেই মোতাবেক আনসারুলবাবু কাগজপত্র জমা করলেও এখনও পর্যন্ত তার অ্যান্ড কোনো টাকা আসেনি। আশ্চর্যজনক ভাবে দেখা যায় উপ-প্রধানের স্বামী আব্বাস আলী তার প্রতিবেশী, যে ব্যক্তির নামও আনসারুল, তার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকিয়ে দিয়েছেন। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার সাথে সাথেই রীতিমতো সরব হন প্রকৃত উপভোক্তা আনসারুল সাহেব। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে উপ-প্রধানের স্বামী আব্বাস সাহেবের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 ব্লকের বিডিও এবং মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সেই আনসারুল সাহেব। যদিও বা তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপপ্রধান মহুয়া বিবির স্বামী আব্বাস সাহেব। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন তিনি বলেন, “অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন। প্রশাসন তদন্ত করলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। আবাস যোজনার যে টাকা ঢুকেছে, সেটা আগের বোর্ডের আমলের।” এদিকে এই ব্যাপারে সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর 1 ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু। এদিন তিনি বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়েছে। একটা বিষয় বলতে চাই, সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য কোনো উপভোক্তার কাউকে টাকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এজন্য কেউ কোনো টাকা চাইলে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করা হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।” তবে তদন্ত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা কেউ জানেন না। কিন্তু পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে একটা জিনিস পরিষ্কার যে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে আবার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এখন শাসকদল এখানে চরম অস্বস্তিতে পড়ল। ফলে গোটা বিষয় এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -