তৃণমূলের আক্রমণের প্রতিবাদপত্র দিতে গেলে রাস্তা আটকাচ্ছে পুলিশ! তীব্র ক্ষোভ 2 বিজেপি সাংসদের কলকাতা জাতীয় রাজ্য June 30, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিরোধী দল বিজেপির কর্মী সমর্থকদের উপর বিভিন্ন জায়গায় হামলা করছে তৃনমূল, বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ নতুন কিছু নয়। পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধেও এই ব্যাপারে অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা গেছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। বর্তমানে লকডাউন পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হতেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ময়দানে নেমেছে। আর সামনের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে শাসক থেকে বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ময়দানে নামার সাথে সাথেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক সংঘর্ষ। এবার দলের কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে জেলাশাসকের দপ্তরে ঢোকার মুখে পুলিশি ব্যারিকেডে বাধা পেলেন বিজেপির দুই সাংসদ। যার ফলে রীতিমত পুলিশের সঙ্গে তরজায় জড়িয়ে পড়লেন বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার এবং জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। প্রসঙ্গত, গত রবিবার রাতে বর্ধমান থানার সামনে বিসি রোডে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এদিন এই ব্যাপারে পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে আসে বিজেপি নেতৃত্ব। যেখানে তারা অভিযোগ করেন, তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলার খোকন দাস এবং আরেক নেতার বিরুদ্ধে। বিজেপির অভিযোগ, এই সমস্ত নেতাদের নেতৃত্বেই তাদের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তবে এদিন স্মারকলিপি জমা দিতে আসার সময় বাঁধে গন্ডগোল। অভিযোগ, পুলিশের পক্ষ থেকে বিজেপি সাংসদদের আটকে যাওয়া হয়। আর এতেই রীতিমত সরব হন দুই বিজেপি সাংসদ। জানা গেছে, পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যারিকেড দেওয়ায় প্রশ্ন করেন, “গাড়ি আটকাচ্ছে কেন! ব্যারিকেড দিয়েছেন কেন! থানার ভিতরে মারছে, আর এখানে এসে আমাদের গাড়ি আটকাচ্ছেন?” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার বলেন, “পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে এসেছি। তার পরেও গাড়ি আটকাচ্ছেন। আসলে পুলিশ আমাদের ভয় পাচ্ছে।” তবে প্রথমদিকে 2 বিজেপি সাংসদকে আটকানো হলেও, পরবর্তীতে তারা পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেন। আর সেখানেই তৃণমূল নেতা খোকন দাস সহ আরেক জনের বিরুদ্ধে গোটা ঘটনায় অভিযোগ করেন তারা। যদিও বা বিজেপির পক্ষ থেকে খোকন দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলেও, তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর। তিনি বলেন, “সকাল থেকে বিজেপি নানারকম প্রচার করছিল। দিনের শেষে কোনো লোকজন পায়নি। দলটা মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে করার সময় মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আসলে বিজেপির মুখোশ মানুষ ধরে ফেলেছেন।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শাসক-বিরোধী তরজা চলবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যেভাবে পুলিশের পক্ষ থেকে দুই বিজেপি সাংসদকে আটকানো হল এবং তা নিয়ে সরব হলেন সুভাষ সরকার এবং জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, তাতে রীতিমত চাঞ্চল্য বাড়ছে। কেন সমস্ত কিছু বলে আসার পরেও তাদেরকে ব্যারিকেড দিয়ে আটকানো হল! তাহলে কি বিজেপি সাংসদ বলেই পুলিশের এই প্রতিহিংসাপরায়ন আচরণ! এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -