তৃণমূলে রদবদল: বিধানসভার আগে সত্যিই কি শক্তি যোগাবে? আলোচনা শুরু শাসকদলের অন্দরমহলেই কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য July 25, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মসনদ দখলের লড়াইতে নামার প্রস্তুতিতে ইতিমধ্যে তোড়জোড় শুরু করেছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল। এই প্রস্তুতিতে সর্বপ্রথম সংগঠনের আমূল পরিবর্তন করেছেন মাননীয়া নেত্রী। রাজ্য থেকে জেলা সর্বত্র সংগঠনের ব্যাপক পরিবর্তন চোখে পড়েছে। যদিও এই পরিবর্তন ঘিরে ইতিমধ্যেই দলের অন্দরে শুরু হয়েছে ব্যাপক গুঞ্জন। কিন্তু অনেকেরই মত, এই ব্যাপক রদবদলের ফলে তৃণমূল সংগঠনের দুর্বল দিক এবার মজবুত হতে চলেছে। তবে রাজ্য স্তরের সংগঠনের পরিবর্তন নিয়ে কথা না উঠলেও জেলাস্তরের সংগঠনের পরিবর্তন নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। সূত্রের খবর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, নদীয়া জেলায় সভাপতি পরিবর্তন ঘিরে শুরু হয়েছে চাপা ক্ষোভ। এই নিয়ে ইতিমধ্যে স্থানীয় নেতারা ঘরোয়া বৈঠকে বসেছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে পর্যবেক্ষক পদটি ইতিমধ্যে তুলে নেওয়া হয়েছে। তাই নিয়েও শুরু হয়েছে গুঞ্জন। তবে দলের একাংশের মত, যে ব্যাপক রদবদল হল তৃণমূলে তার পেছনে অবশ্যই কৌশলী চিন্তাভাবনা রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের। তবে বিভিন্ন জেলায় যাঁদের এবার দায়িত্বে রাখা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে দলের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে। যার মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর, নদীয়া, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ার নাম উঠে এসেছে। বিধায়ক গৌতম দাসের দক্ষিণ দিনাজপুরের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা জেলাস্তরে। অন্যদিকে কৃষ্ণনগরের সভাপতি মহুয়া মৈত্রকে এবার সম্পূর্ণ নদীয়া জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, দলের অন্দরে মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে একাংশের অসন্তোষ রয়েইছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাই এবার মহুয়া মৈত্রকে আরো বড় দায়িত্ব দেওয়ার ফলে এই অসন্তোষ বেড়েছে বৈ কমেনি। অন্যদিকে বাঁকুড়াতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে লোকসভা ভোটে পরাজিত শ্যামল সাঁতরাকে। উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটে পরাজিত হওয়ার কারণে সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে শ্যামল সাঁতরাকে সরিয়ে দেওয়া হইয়েছিল সেই সময়। কিন্তু তাঁকেই আবার ফিরিয়ে আনা হল বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে। অন্যদিকে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার মহিলা, ছাত্র, চিকিৎসক, আইনজীবী সংগঠনেও ব্যাপক রদবদল চান দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছাত্রসংগঠনের বদল নিয়ে আগেও কথা হয়েছে। তবে এবার মহিলা শাখাতেও তৃণমূল নতুন মুখ আনতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে ফ্রন্টলাইনে থে্কে বর্তমানে লড়ে যাচ্ছেন ডাক্তাররা। সে কথা মাথায় রেখেই তৃণমূলের ডাক্তারদের সংগঠনকেও এবার ঢেলে সাজাতে চাইছেন দল। অন্যদিকে আইনজীবী সংগঠনের পরিবর্তন এনেও বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে সমাজে তাঁদের প্রভাবকে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল বলে জানা যাচ্ছে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধীদের টক্কর দিতে রীতিমতো আঁটঘাট বেঁধে এবার আসরে নামতে চলেছে তৃণমূল। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূল সংগঠনে ব্যাপক রদবদলের ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই এবার কিছু পরিবর্তন আসতে চলেছে দলে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তৃণমূলের সাংগঠনিক পরিবর্তন ঘিরে যে অশান্তির কালো মেঘ ঘনাচ্ছে, তা কিন্তু অবিলম্বে সামলানো উচিত। নাহলে পরবর্তীতে বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে দলে। তবে সর্বোপরি সাংগঠনিক পরিবর্তন তৃণমূল শিবিরে কি পরিবর্তন আনে এখন সেদিকেই নজর সবার। আপনার মতামত জানান -