লকডাউনের মধ্যেও গৌড়বঙ্গের তিন জেলায় জমিয়ে হল রামপুজো! জেনে নিন! অন্যান্য উত্তরবঙ্গ পুজো, শাস্ত্র ও ভাগ্য মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য August 6, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা ভাইরাসকে আটকাতে আগস্ট মাসে বেশ কিছুদিন লকডাউনের জন্য ধার্য করেছে রাজ্য সরকার। 5 ই আগস্ট রাজ্য সরকারের সেই লকডাউনের তালিকার মধ্যে ছিল। কিন্তু বহু প্রতীক্ষিত রাম মন্দিরের ভূমিপূজো 5 আগস্ট হওয়ায় রাজ্য সরকারের এই দিন বদল করা উচিত বলে দাবি জানিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুধু তাই নয়, রাজ্য যদি এই মহাপুন্য তিথিতে লকডাউন শিথিল না করে, তাহলে তার ফল ভুগতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি রাজ্যে লকডাউন হওয়া সত্ত্বেও অযোধ্যায় রাম মন্দির স্থাপনে যে ভূমি পুজো হচ্ছে, তার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রাম পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানানো হয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই একদিকে করোনা ভাইরাসকে আটকাতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যখন লকডাউন করা হয়েছে, তখন বিজেপি এই রাম মন্দিরের ভূমি পূজা উপলক্ষে সেলিব্রেশন উৎসব করলে রাজ্যে চরম রাজনৈতিক বিবাদ শুরু হতে পারে বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গৌড়বঙ্গের তিন জেলা উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে রাম মন্দিরের ভূমিপুজো উপলক্ষে ব্যাপক অনুষ্ঠান লক্ষ্য করা গেল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, এদিন ভূমিপূজা উপলক্ষে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে বিশাল যজ্ঞ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে পূজা চলাকালীন তরোয়াল তুলে অস্ত্রের খেলা দেখান জেলা বিজেপির সভাপতি বিশ্বজিত লাহিড়ী। কিন্তু যেখানে লকডাউন করা হয়েছে মানুষের স্বার্থে, সেখানে বিজেপির পক্ষ থেকে এত জাঁকজমক করে কেন উৎসব পালন করা হল? এদিন এই প্রসঙ্গে বিশ্বজিৎবাবু বলেন, “সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।” এদিকে উত্তর দিনাজপুরের মত দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় রাম লক্ষনের পুজোতে মাততে দেখা যায় বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে। সূত্রের খবর, এদিন বালুরঘাটের রঘুনাথপুর মন্দিরে রাম লক্ষনের পুজো করেন সুকান্তবাবু। তবে লকডাউনের সময় এইভাবে জমায়েতের খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় পুলিশ। মুহূর্তের মধ্যে ফাঁকা হয়ে যায় এলাকা। তবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থেকে শুরু করে তপন, কুমারগঞ্জ বিভিন্ন জায়গায় রাম মন্দিরে পুজো করতে দেখা গেছে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মী সমর্থকদের। এদিন এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমার উপস্থিতিতে রঘুনাথপুর মন্দিরে পুজোতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়েছে।” এদিকে মালদহ জেলাতেও এই ভুমি পূজা উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় রামের পুজো করা হয়। দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ পুরাতন মালদা সাহাপুর গ্রামে রামের পুজোতে উপস্থিত ছিলেন উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। অনেকে বলছেন, লকডাউনের মধ্যেও যেভাবে রামের পুজো পালন করে অযোধ্যায় ভূমি পুজো উৎসবে মাততে দেখা গেল বিজেপি কর্মী সমর্থকদের, তাতে কিছু জায়গায় লকডাউন ভঙ্গ হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের স্বার্থ যেখানে সুরক্ষিত নয়, সেখানে কেন ধর্মীয় অনুষ্ঠান করে জমায়েতের মাধ্যমে লকডাউন ভঙ্গ করল বিজেপি কর্মী সমর্থকরা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সব মিলিয়ে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর অনুষ্ঠানে বাংলায় সেলিব্রেশনে মাতা বিজেপি নেতা কর্মীদের উচ্ছ্বাস এবং শাসকদলের পাল্টা বিরোধিতা রীতিমত নজর কেড়েছে বাংলার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -