দফায়-দফায় তৃণমূল- বিজেপি রাজনৈতিক সঙ্ঘর্ষে উত্তপ্ত উত্তরবঙ্গ! চলল অবাধে ভাংচুর, এলাকায় পুলিশ উত্তরবঙ্গ তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য September 14, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের দিন এবং সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই উত্তপ্ত হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় যেমন শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হতে দেখা যাচ্ছে, ঠিক তেমনই দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এবার রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে উত্তরবঙ্গেও। এবার তৃণমূল এবং বিজেপির সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের তুফানগঞ্জ 2 ব্লকের ফলিমারি এলাকা। যে ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, গত শনিবার গভীর রাতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের ফলিমারী অঞ্চল সভাপতি গোকুল সাহার বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। আর এরপরে বিজেপির তরফ থেকে আরও 15 জন তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের পার্টি অফিসেও ভাঙচুর চালিয়েছে বলে সরব হয়েছে শাসক দল। আর শাসক দলের নেতাকর্মীদের বাড়ি সহ পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালানোর ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় উপস্থিত হয় পুলিশ। তবে যেভাবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে দলের নেতাকর্মীদের বাড়ি ভাংচুর সহ পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ করল তৃণমূল কংগ্রেস, তাতে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় বলেন, “রাতের অন্ধকারে আমাদের অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলা চালিয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদে সোমবার তুফানগঞ্জ শহরে ধিক্কার মিছিল করব। মানুষ বিজেপির সঙ্গে নেই। তাই রাতের অন্ধকারে ওরা এসব করছে।” একইভাবে গোটা বিষয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে তুফানগঞ্জ বিধানসভার তৃণমূলের প্রাক্তন পর্যবেক্ষক মানিক দে-কে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য এই ঘটনাকে অস্বীকার করা হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে তুফানগঞ্জ বিধানসভায় বিজেপির সংযোজক উৎপল দাস বলেন, “আমাদের মন্ডল সম্পাদকের বাড়িতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রাতে হামলা চালায়। ওই নেতার বাড়িতে এক সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গভীর রাতে এই ধরনের তাণ্ডবে আশেপাশের মানুষজন জড়ো হয়ে যায়। তারা সকলে মিলে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।” তবে একে অপরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করুন না কেন, যেভাবে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে, তাতে আইন-শৃংখলার ব্যাপক অবনতি হচ্ছে বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। একাংশ বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত সাধারণ মানুষকে স্বস্তি এবং শান্তি দেওয়া। কিন্তু ভোট রাজনীতির জন্য যেভাবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তারা রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটাচ্ছে এবং একে অপরের দিকে হামলা করতে শুরু করেছে, তাতে বিঘ্নিত হচ্ছে এলাকার শান্তি। যার ফলে সাধারণ মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। তাই এই পরিস্থিতিতে পুলিশ প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে বলে মনে করছেন জনতা জনার্দন। তবে রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে এখন নিজেদের মধ্যেকার সংঘর্ষ থেকে বিরতি নিয়ে কতটা শৃঙ্খলা পরায়ন রাজনৈতিক লড়াই লড়তে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -