এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্য বাজেট নাকি ঢপের চপ! উন্নয়ন বোর্ড নিয়ে মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর!

রাজ্য বাজেট নাকি ঢপের চপ! উন্নয়ন বোর্ড নিয়ে মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলেন। তিনি নাকি আদিবাসীদের ভালবাসেন, সংখ্যালঘুদের ভালবাসেন, পাহারকে ভালবাসেন, সমুদ্র ভালবাসেন, ইত্যাদি অনেক বড় বড় ডায়লগ তার মুখ থেকে শুনে অভ্যস্ত রাজ্যের মানুষ। কিন্তু কতটা কাজ হয়েছে, তা তো এতদিনে হারে হারে বুঝতে পারছেন এই রাজ্যের বঞ্চিত জনতা। আজ বিধানসভায় রাজ্য বাজেট পেশ করেছে এই সরকার। কিন্তু সেখানে শুধুমাত্র কয়েকটি চমকপ্রদ প্রতিশ্রুতি দিয়ে আখেরে মানুষের উন্নয়নের রাস্তায় হাঁটতে দেখা যায়নি এই রাজ্যকে। বরঞ্চ সামনে লোকসভা ভোট। তাই কিছু চমকপ্রদক ঘোষণা করে কি করে সেই ভোট কেনা যাবে, সেই দিকেই বেশি নজর দিয়েছে এই রাজ্য প্রশাসন। কেন এই কথা বলা হচ্ছে? বলা বাহুল্য, গোর্খা, নেপালিদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক বড় বড় কথা বলেন। কিন্তু তাদের জন্য বোর্ড গঠন করা হলেও, সেক্ষেত্রে রাজ্য বাজেটে তেমন কোনো ঘোষণা করা হয়নি। আর সেই বিষয়টি তুলে ধরেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশ খুলে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি যে কথা বলেছেন, তারপর নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে যে, সত্যিই তো তাই! তাহলে কিসের ভালোবাসা এই রাজ্যের মানুষকে দেখান মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী! সবটাই কি ঢপের চপ?

প্রসঙ্গত, এদিন দীর্ঘ রাজ্য বাজেটে অনেক বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এই রাজ্যের সরকার। অনেক বড় বড় ঘোষণা করা হয়েছে। লক্ষীর ভান্ডারের টাকা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে অনেক চমকপ্রদ কথা সেই বাজেটে তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু আখেরে প্রত্যেকটি জনজাতির উন্নয়নের কি হবে এই রাজ্যে! সেই রকম কোনো কথা এই রাজ্য বাজেটে তুলে ধরা হয়নি। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়, সমতলের উন্নয়নের কথা নিজের ভাষনে বলেন, আজকে বাজেটে কেন সেই কথা শোনা গেল না? আর সেই প্রসঙ্গেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন একটি তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন। তার দাবি, বিভিন্ন উন্নয়ন বোর্ড গঠন হলেও, গোর্খা বোর্ড, লেপচা বোর্ড, কুর্মি বোর্ড গঠন হলেও সেখানে কত বরাদ্দ হবে, সেখানকার মানুষদের কি উন্নয়ন হবে, তা নিয়ে কোনো কিছুই বলা হয়নি এই বাজেটে। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে যে, এই সরকার শুধুমাত্র ভোট কেনার চেষ্টা এই রাজ্য বাজেটে ঘোষণার মধ্যে দিয়ে করেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ যাতে ভালো থাকে, তাদের যাতে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হয়, সেই রকম কোনো চেষ্টা এই রাজ্য বাজেটে করা হয়নি বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের উন্নয়ন হোক, সেটা চান না। তিনি শুধু নিজের ক্ষমতা দখল করে রাখতে চান। তাই সেই কারণে কিছু চমকপ্রদ কথা রাজ্য বাজেটে তিনি বলেছেন, যাতে সামনের ভোটের বৈতরণী পার হতে পারেন। কিন্তু মানুষ এই সরকারের চালাকি ধরে ফেলেছে। আর্থসামাজিক উন্নয়ন যেখানে নেই, সেখানে সাধারণ মানুষ এই সরকারের পক্ষে থাকবে না। আগামী দিনে হাজার চমকপ্রদ কথা বলেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটে জিততে পারবেন না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, একটি সরকার যখন বাজেট ঘোষণা করে, তখন সমাজের সর্বস্তরের দিকে তা নজর থাকা উচিত ছিল। রাজ্য বাজেট হচ্ছে, বিভিন্ন জনজাতির মানুষদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের কথা বলে। কিন্তু সেই রকম রাস্তায় হাঁটতেই দেখা যায়নি এই রাজ্যের সরকারকে। বরঞ্চ যে বাজেট হয়েছে, তার পরোতে পরোতে প্রমাণ হয়েছে যে, এরা শুধুমাত্র ভোটের রাজনীতি করার জন্যই এই বাজেট তৈরি করেছে। মানুষকে কিছু ভাতা দিয়ে, কিছু ভর্তুকি দিয়ে ভোট কেনা সহজ হবে। তাই আর্থ সামাজিক উন্নয়নের বদলে সস্তার রাজনীতি করতে গিয়ে মানুষকে সর্বনাশের মুখে ঠেলে দিয়েছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!