এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অগ্নিমিত্রাকে বাধা, মমতা পুলিশকে উচিত শিক্ষা শুভেন্দুর! উত্তাল রাজ্য রাজনীতি!

অগ্নিমিত্রাকে বাধা, মমতা পুলিশকে উচিত শিক্ষা শুভেন্দুর! উত্তাল রাজ্য রাজনীতি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গোটা রাজ্যে তো গণতন্ত্র নেই। এই সরকার গণতন্ত্রকে সর্বতোভাবে হত্যা করেছে। কিন্তু একজন বিধায়ক, বিধানসভা থেকে বের হবেন, অথচ তাকে পুলিশ দিয়ে বাধা দিতে হবে! কারণ কি? কারণ, সেই রাস্তা দিয়ে নাকি যাবেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাই অন্য একজন বিধায়ক যখন সেখান থেকে বের হবেন, তখন তার রাস্তা বন্ধ। সত্যিই, এই সরকারের পদলেহন করতে করতে পুলিশ প্রশাসন কতটা দলদাসের পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে, তা হয়তো তারা নিজেরাও জানে না। আজকে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। কিন্তু তিনি যেমন একজন বিধায়ক, তেমন বিরোধীদলের অগ্নিমিত্রা পালও তো একজন বিধায়ক। ফলে মুখ্যমন্ত্রী কেন স্পেশাল অ্যাডভান্টেজ পাবেন? তাই বিজেপি বিধায়কের প্রতি রাজ্য পুলিশের অমর্যাদা এবং অপব্যবহারের পরেই কি করে সেই পুলিশকে টাইট দিতে হয়, তা তৎক্ষণাৎ দেখিয়ে দিলেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একেবারে সকলের সামনে এই দলদাস পুলিশের উদ্দেশ্যে হুংকার ছেড়ে শুভেন্দুবাবু বুঝিয়ে দিলেন, এইসব ফালতু কাজ অন্তত বিরোধী দলের বিধায়কদের সঙ্গে যেন করা না হয়। ভবিষ্যতে যেন এই দিকে সচেতন থাকে এই দলদাস পুলিশ। কিন্তু কি হয়েছে! কি কারনে এই পুলিশের মুখের ওপর এই ধরনের কথা বলতে হলো রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে?

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিধানসভায় রাজ্য বাজেট অনুষ্ঠিত হয়। আর তারপরেই সকল বিধায়করা নিজেদের মতো করে গাড়ি করে বিধানসভা থেকে বের হওয়ার উদ্যোগ নেন। আর সেই সময় এই রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের গাড়ি যেতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কারণ কি? কারণ তখন নাকি এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেই রাস্তা দিয়ে যাবেন। তাই অগ্নিমিত্রা পলকে অপেক্ষা করতে বলা হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন। কিন্তু তার তো আইন রক্ষা করা উচিত। তাহলে তার আগে যখন একজন বিধায়ক বের হবেন, তখন কেন তিনি এই পুলিশকে নির্দেশ দিলেন না যে, আগে সেই বিধায়ক বেরিয়ে যাক, তারপরে আমি যাব। কি এমন মহান কর্ম করতে যাচ্ছেন তিনি, যে, বিরোধী বিধায়কের গাড়ি পুলিশ দিয়ে আটকে দিতে হবে! রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে কেন লজ্জা হয় না এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর?

আইন যদি হয়, তাহলে তো সেই আইন সকলের জন্য সমান হওয়া উচিত। এদিকে এই ঘটনার পরেই অগ্নিমিত্রা পাল গোটা বিষয় নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে অভিযোগ জানানো পরেই সেটা শুনেই পুলিশের মুখের ওপর শুভেন্দু অধিকারী একেবারে ঝামা ঘষে দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, এইসব যেন ভবিষ্যতে আর করা না হয়। কে হরিদাস পাল যাবেন, তার জন্য কেন অগ্রিমিত্রা পালকে আটকানো হবে! পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকবার প্রশ্ন করেন এই পুলিশের উদ্দেশ্যে যে, কে অগ্নিমিত্রা পালকে আটকেছে? যদিও বা সেই সৎ সাহস এই দলদাস প্রশাসনের হয়নি। উত্তর দেওয়ার মতো ক্ষমতা তাদের হয়নি। কারণ তারা নিজেরাও জানে যে, বিজেপি বিধায়ককে আটকে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে যাওয়ার রাস্তা করে দিয়ে তারাই অন্যায়টা করেছেন।

বিজেপির দাবি, প্রতিমুহূর্তে আইন ভাঙ্গেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি এমন কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি নন যেহ তার জন্য অন্য কোনো ব্যক্তিকে অপেক্ষা করতে হবে। রাজ্যকে শেষ করে দিয়ে তিনি নিজেকে যদি মহারানী হিসেবে ভাবতে শুরু করেন, তাহলে তিনি ভুল করছেন। যে দলদাসের মত আচরণ করছে এই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন, তা ভয়ংকর। আগামী দিনে এরা উচিত শিক্ষা পাবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তো উচিত যে, কোনো জায়গায় তিনি গেলে ওই যে একটা লম্বা দড়ি দিয়ে মানুষকে আটকে দেওয়া হয়, সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে দেওয়া। তিনি তো মানুষের নেত্রী। তাহলে কেন তার যাওয়ার পথে এত পুলিশি কড়াকড়ি থাকবে! কেন তিনি মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে পারছেন না! ক্ষমতায় আসার পর, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর কেন তার এত পরিবর্তন? এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তো দেখে তার হাতে রাজ্যের ক্ষমতা তুলে দেয়নি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। একজন সরল সাদাসিধে, গরিবের কথা বলা নেত্রীকেই তো চেয়েছিল বাংলার জনতা। কিন্তু ক্ষমতায় বসেই তিনি যেভাবে নিজের সুবিধে করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে দলদাসে পরিণত করে প্রতিমুহূর্তে গণতন্ত্রকে হত্যা করছেন, তাতে সত্যিই সকলেই হতাশ। সর্বোপরি একজন বিধায়ক, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়ার আগে বেরোলেও নাকি তিনি যেতে পারবেন না! কারণ সেই রাস্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যাবেন। তাই সেই বিধায়ককে অপেক্ষা করতে হবে। ভেবে দেখুন! এই রাজ্যকে, এই রাজ্যের প্রশাসনকে ঠিক কোন জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! তবে কেউ কেউ প্রতিবাদ করতে জানেন। তাই আজকে বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়েই পুলিশের এই ধরনের দলদাসের মত আচরণ দেখেই অগ্রিমিত্রা পালের হয়ে চরম প্রতিবাদ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘুরিয়ে হরিদাস পাল বলে সম্বোধন করলেন এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!