এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > গৃহ থেকেও গৃহহীন, দুর্যোগে মানুষকে বিপদে ফেলার অভিযোগ, অস্বস্তিতে পৌরসভা!

গৃহ থেকেও গৃহহীন, দুর্যোগে মানুষকে বিপদে ফেলার অভিযোগ, অস্বস্তিতে পৌরসভা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভয়াবহ দুর্যোগ ইয়াসের দাপট পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে অসুবিধার মুখে ফেলে দিয়েছে। সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস হওয়ার কারণে অনেক জায়গা প্লাবিত। যার জেরে অনেক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেই সমস্ত মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। তবে তারকেশ্বর পৌরসভার পক্ষ থেকে আগেই দুঃস্থ মানুষদের জন্য প্রায় তিনশো ফ্ল্যাট তৈরি করা হয়েছিল।

কিন্তু দুর্যোগের সময় সেই ফ্ল্যাটের সব ব্যবহার না করে সাধারণ মানুষকে ত্রাণশিবিরে নিয়ে যাওয়ার কারণে এখন পৌরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে। তাহলে কিসের জন্য এই বাসস্থান তৈরি করা হল, এখন সেটা নিয়েই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে বিরোধীরা। যার জেরে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে তারকেশ্বর পৌর কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তারকেশ্বর পৌর এলাকায় গৃহহীনদের ফ্ল্যাট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। যেখানে 64% টাকা কেন্দ্রীয় সরকার এবং 36% টাকা দেওয়ার কথা ছিল রাজ্য সরকারের। সেই মত করে আবাসনকও তৈরি হয়েছিল। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের শর্ত ভাঙার কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে প্ল্যান চাওয়া হয়। যার জেরে কাজ কিছুটা হলেও থমকে যায়। কিন্তু বেশ কিছু ফ্ল্যাট সেখানে তৈরি হয়ে যায়। সেদিক থেকে গরিবদের জন্য ঘর তৈরি করা হলেও, ত্রাণশিবিরে এইভাবে মানুষকে কেন রাখা হল?

কেন যে কয়টি আবাসন তৈরি হয়েছিল, সেখানে দুস্থ গরিব মানুষদের রাখা হল না! এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে তারকেশ্বর পৌরসভার বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম কুন্ডু বলেন, “ত্রাণশিবিরে এই মানুষদের জন্য খারাপ লাগছে। আমাদের বোর্ডের অপদার্থতেই অন্তত 350 জন মানুষ ফ্ল্যাট তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে। ওই গরিব মানুষগুলো চাবি পেলে তারা আজ ফ্ল্যাটে থাকতেন, ত্রাণশিবিরে নয়। এমন ভূমিকাহীন পৌর প্রশাসক হয়ে আমি আর থাকতে চাই না। দলকে পদত্যাগের বিষয়ে দ্রুত জানাবো।”

সত্যিই তো তাই! কেন শুধুমাত্র খামতি থাকার কারণে সাধারণ মানুষরা এভাবে বঞ্চিত হবেন? সেদিন এই প্রসঙ্গে তারকেশ্বর পৌরসভার পৌর প্রশাসক স্বপন সামন্ত বলেন, “এই প্রকল্পের একটা সমস্যা আছে‌। কথা বলে মিটিয়ে নিয়েছিলাম। নির্বাচন ও করোনার কারণে দেরি হচ্ছে। তবে এবার মিটে যাবে।” এদিকে গোটা বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব।

এদিন তিনি বলেন, “তারকেশ্বরের এই সরকারি প্রকল্প নিয়ে আমার বিশেষ কিছু জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব।” অর্থাৎ সাধারণ মানুষকে পরিষেবা না দেওয়ার কারণে এবং দুর্যোগের সময় মানুষ তাদের বাড়ির বদলে ত্রাণ শিবিরে গিয়ে উপস্থিত হওয়ায় রীতিমত ক্ষোভ উগরে দিলেন পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান। যার জেরে অনেকটাই অসুবিধার মুখে পড়লেন পৌর কর্তৃপক্ষ। স্বাভাবিক ভাবেই কবে এই সমস্যার সমাধান হয়, কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে পৌরসভা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!