এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ১০০-র বেশি আয়ুর রহস্য লুকিয়ে আছে মহাভারতের পাতায়-পাতায়? পুরোটা জানলে বিস্ময়ের সীমা থাকবে না

১০০-র বেশি আয়ুর রহস্য লুকিয়ে আছে মহাভারতের পাতায়-পাতায়? পুরোটা জানলে বিস্ময়ের সীমা থাকবে না


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টমহান বিজ্ঞানী নিউটন যথার্থই বলেছিলেন, “আমি জ্ঞানের সমুদ্রে নুড়ি কুড়চ্ছি।” আমরা কতটুকুই বা জানি বা চিনি এই পৃথিবীকে। এই পৃথিবী চিরকালই রহস্যময়। এমন অনেক বিষয় আছে বা তথ্য আছে যা জানলে বা শুনলে আমাদের বিস্ময়ের সীমা থাকবে না। আমরা জানি মানুষের গড় আয়ু ৭০ বছর। কেউ ১০০ বছর জীবিত থাকলে আমরা যারপরনাই অবাক হই। আর সেই ১০০ বা ৮০ বছরের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে দেখি বয়সের ভাড়ে নুয়ে পড়ে কোনোমতে টিকে আছে।

কিন্তু চিরকালই কী পৃথিবীতে মানুষের গড় আয়ু ৭০ বছর ছিল? মানুষ কী ৫০ পেরোলেই বৃদ্ধ হতে শুরু করতো? মোটেই নয়। সত্য বা দ্বাপর যুগে মানুষের আয়ু অনেক বেশি ছিল। এমনকি, ৬০ বছর বয়সেও সে থাকতো তরুণ-তরুনী। অবাক হচ্ছেন? এটি একদমই সত্যি। যত দিন যাচ্ছে মানুষের আয়ু, উচ্চতা, কায়িক শক্তি ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। আগেকার দিনে রাজ রাজাদের তরোয়ালের দৈর্ঘ্য দেখলেও আমরা অনুমাম করতে পারি সেই সময় তাদের উচ্চতা কত ছিল।

এবার আসি মহাভারতের কথায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের কথা আমরা কে না জানি! তবে আমরা কী জানি যে মহাভারত জুড়ে যে চরিত্রগুলিকে আমরা দেখি — ভীষ্ম, দ্রোণ, কৃষ্ণ, পান্ডব, কৌরব, কর্ণ, বিদুর, দ্রৌপদী, ধৃতরাষ্ট্র, কুন্তি, গান্ধারী, শকুনি — এদের মৃত্যু কালে বয়স কতো ছিল?
কী, খটকা লাগছে? কপালে ভাঁজ পড়ছে। অবাক হওয়ার এখনো বাকি আছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, মহাভারতে বর্ণিত এই চরিত্রগুলির মৃত্যুকালে বয়স কত ছিল।

১. পিতামহ ভীষ্ম – পিতামহ ভীষ্ম হস্তিনাপুরের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যাক্তি। তার ছিল ইচ্ছামৃত্যুর বর। তিনি তার পিতা মহারাজ শান্তনুর সময়কাল থেকে যে দীর্ঘ দিন জীবিত ছিলেন তাতে তিনি স্বচক্ষে চার প্রজন্মের সময়কাল দেখে যান। ভীষ্মের মৃত্যুর সময় তার আনুমানিক বয়স ছিল প্রায় ১৯০ বছর।

২. রাজা শান্তনু ও বিচিত্রবীর্য্য – মহারাজ শান্তনুর মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। সেই সময়কালে এই বয়সে মৃত্যুকে অকালমৃত্যুই বলতো। তার পুত্র বিচিত্রবির্য্যের মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৩২ বছর। তিনি যক্ষা রোগে মারা যান।

৩. পান্ডু – পান্ডু মহারাজ বিচিত্রবীর্য্যের পর হস্তিনাপুরের রাজা হয়েছিলেন। তিনি পান্ডবদের পিতা। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৫০ বছর।

৪. ধৃতরাষ্ট্র – পান্ডুর বড় ভাই ধৃতরাষ্ট্র প্রায় ৯০ বছর হস্তিনাপুরে রাজত্ব করেছিলেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল প্রায় ১৬০ বছর।

৫. কর্ণ – কর্ণ মহাভারতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। তিনি ছিলেন পান্ডবদের বড় ভাই এবং দুর্যোধনের বন্ধু। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের ১৭ তম দিনে তিনি মারা যান৷ মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ১০৭ বছর।

৬. দুর্যোধন – দুর্যোধন ছিলেন রাজা ধৃতরাষ্ট্রের জেষ্ঠ পুত্র এবং মহাভারতের মূল খল চরিত্র। কুরুক্ষেত্রের শেষ দিনে তিনি ভীমের হাতে মারা যান৷ মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল প্রায় ৯০ বছর।

৭. যুধিষ্ঠির – যুধিষ্ঠির ছিলেন জ্যাষ্ঠ পান্ডব৷ তিনি ভীমের থেকে এক বছরের বড় ছিলেন। কথিত আছে, তি স্ব শরীরে স্বর্গে যান সেই সময় তার বয়স ছিল ১২৭ বছর।

৮. ভীম, অর্জুন, নকুল ও সহদেব – মৃত্যুকালে ভীম, অর্জুন, নকুল ও সহদেব — এর যথাক্রমে বয়স ছিল ১২৬, ১২৫, ১২৪ বছর। নকুল ও সহদেব জমজ ভাই ছিলেন।

৯. বিদুর – বিদুর ছিলেন ধৃতরাষ্ট্র ও পান্ডুর ভাই। তিনি ছিলেন ধর্মপ্রাণ ব্যাক্তি। মৃত্যু কালে তার আনুমানিক বয়স ছিল ১৬০ বছর।

১০. শ্রীকৃষ্ণ – এবার আসি মহাভারতের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চরিত্রের কথায়। মৎস পুরাণ অনুযায়ী কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল ৮৯ বছর। আর দেহত্যাগের সময় তার বয়স ছিল ১২৫ বছর। তিনি অর্জুনের থেকে মাত্র ৭ মাসের বড় ছিলেন।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!