মমতা নির্দেশ দিতেই থালা হাতে ময়দানে তৃনমূলের মহিলা ব্রিগেড! চরমে বিজেপি বিরোধীতা! জেনে নিন কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য September 23, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যসভায় কৃষি বিলের বিরোধিতা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে রুলস বুক ছিড়ে ফেলার অভিযোগে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন সহ মোট আটজন সাংসদকে সাত দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়। আর এর পরেই উত্তাল হয়ে ওঠে জাতীয় রাজনীতি। বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে দিল্লিতে অবস্থানে বসে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন সেই সমস্ত সাংসদরা। এদিকে তাদের দলের দুই সাংসদকে বহিস্কার করা হয়েছে জেনেই নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে এই ব্যাপারে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বাক্য বর্ষন করেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই সাংবাদিক বৈঠকেই আভাস পাওয়া গিয়েছিল, রাজ্যসভায় যে ঘটনা ঘটেছে, তার বিরুদ্ধে এবার হয়ত তৃণমূল কংগ্রেস পথে নামবে। সেই মত করেই এদিন ধর্মতলায় তৃণমূলের মহিলা ব্রিগেড বিজেপির বিরুদ্ধে কৃষক বিরোধিতার অভিযোগ তুলে অভিনব প্রতিবাদ জানাতে শুরু করল। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ধর্মতলায় থার্মোকলের প্লেটের ওপর স্লোগান লিখে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তৃণমূল মহিলা সংগঠনের নেতৃত্বদের। যেখানে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, মালা রায়, কৃষ্ণা চক্রবর্তীর মত তৃণমূলের মহিলা সংগঠনের শীর্ষ নেত্রীরা। প্রত্যেকের মুখেই ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে কৃষক বিরোধিতার অভিযোগ। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষিত না রাখলেও, বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কৃষকদের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে বলেও এদিনের এই প্রতিবাদ সভা থেকে দাবি করতে দেখা যায় তৃণমূল নেত্রীদের। একাংশ বলছেন, কৃষকরা যেমন মাঠে ফসল ফলান, ঠিক তেমনই সেই ফসল রান্না করে তার পরিবারের মুখে তুলে দেন মহিলারা। তাই কৃষকদের স্বার্থ যখন বিঘ্নিত হচ্ছে, তখন সেই অভিযোগ তুলে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের মহিলা সংগঠনকে ময়দানে নামিয়ে বাংলার মহিলাদের মনে বিজেপি বিরোধিতার সুরকে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করলেন বলেই দাবি বিশ্লেষকদের। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কৃষকবন্ধু প্রকল্পে বাংলার 73 লক্ষ্য কৃষক উপকৃত হয়েছেন। এছাড়াও কৃষি সরঞ্জাম প্রদান থেকে শুরু করে কৃষাণ ক্রেডিট কার্ড, সাবসিটি প্রদান সহ বিভিন্ন প্রকল্পে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দ্বারা উপকৃত হয়েছেন বাংলার কৃষকরা। সেদিক থেকে কেন্দ্র কৃষি বিল পাস করলেও, তার বিরোধিতা করতে গিয়ে যেভাবে সাসপেন্ড হতে হল 8 জন সাংসদকে, তাতে সেই বিষয়টিকে তুলে ধরে এবার ধর্মতলায় আবার প্রতিবাদে বসে পড়ল তৃনমূল কংগ্রেস। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকে বলছেন, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে আরও বেশি করে রাস্তায় নামার ইস্যু পেয়ে গেল তৃনমূল কংগ্রেস। আর তাই রাজ্যসভার ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কৃষক বিরোধিতার স্লোগান তুলে তৃণমূলের মহিলা সংগঠনের নেতৃত্বরা প্রতিবাদে সামিল হলেন। একদিকে যেমন তারা বিজেপির বিরুদ্ধে বিরোধিতা করতে শুরু করলেন, ঠিক তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কৃষকদের জন্য কি কি উন্নয়নমূলক প্রকল্প এনেছে, তা তুলে ধরে বাংলা শুধু নয়, সারা ভারতবর্ষের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে কৃষক দরদী, তা প্রমাণের চেষ্টা করলেন তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। এদিন এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ করেন তৃণমূল মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। একইভাবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়ে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “রাজ্য সরকার বাংলার কৃষকদের সুরক্ষায় একধাপ এগিয়ে ভাবে। আর বিজেপি রাজ্যের বিরুদ্ধে শুধু ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলে।” তবে এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের এই সভায় প্রায় প্রত্যেকের মুখেই একটা শ্লোগান বারেবারেই উঠে আসতে দেখা গেছে। তা হল, বিজেপি কৃষক বিরোধী। অর্থাৎ এই কৃষি বিলের প্রতিবাদ করে যেভাবে সাসপেন্ড হতে হয়েছে একাধিক সাংসদকে, তার পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনে নেমে এখন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কৃষক বিরোধিতার অভিযোগ তুলে তৃণমূলের এই আন্দোলন বিজেপির ঘুম অনেকটাই কেড়ে নেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -