এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > দলবদলের লড়াই শুরু তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে! জোর শোরগোল!

দলবদলের লড়াই শুরু তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে! জোর শোরগোল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এখন একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে দুই রাজনৈতিক দল তৃণমূল এবং বিজেপি। করোনা ভাইরাসের মত সংকটকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে, তখন ভার্চুয়ালের মধ্য দিয়ে নানা কর্মসূচি করতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে। তবে এত সব সত্ত্বেও এখন ছোট ছোট কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দুই রাজনৈতিক দল একে অপরের ঘর ভাঙতে উদ্যোগী হয়েছে।

তৃণমূল থেকে শুরু করে বিজেপি দুই দলই এখন বুথভিত্তিক কর্মীসভার মধ্যে দিয়ে একদল থেকে সমর্থকদের নিয়ে নিজেদের দলে যোগদান করতে উদ্যোগী। অর্থাৎ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী দল ভাঙিয়ে নিজেদের দিকে নিয়ে এসে নিজেদের শক্তি আরও বেশি করে শ্রীবৃদ্ধি করতে তৃণমূল এবং বিজেপির এই উদ্যোগ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই দলবদলে সবথেকে বেশি কারা লাভবান হচ্ছেন? কারা এগিয়ে যাচ্ছেন এর ফলে?

জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় 30 টি রাজনৈতিক কর্মী সভার আয়োজন করা হয়েছিল। আর এই সভাগুলোর মধ্যে দিয়েই প্রায় 18 হাজার বিজেপি কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন বলে দাবি শাসকদলের। অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে করোনা আবহের মধ্যে পঞ্চাশটি কর্মীসভার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে সিপিএম-তৃণমূল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে প্রায় ছয় হাজার কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেছেন বলে দাবি পদ্মফুল শিবিরের। স্বাভাবিকভাবেই দুই রাজনৈতিক দল একে অপরের ঘর বানিয়ে বিপুল নেতাকর্মী নিজেদের দিকে এনে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের যেমন শ্রীবৃদ্ধি করতে চাইছে, ঠিক তেমনই বিরোধী দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাইছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে দুই রাজনৈতিক দলের তরফে প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে আমরা বড় ধরনের কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির আয়োজন করছি না। তবে জেলার আটটি ব্লকেই আমাদের দলের কর্মীদের নিয়ে ছোট ছোট করে রাজনৈতিক কর্মসূচি করেছি। 2019 সালে যারা আমাদের ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন, তাদের আমরা তৃনমূল কংগ্রেসে ফিরিয়ে নিয়ে আসার টার্গেট নিয়েছি। সেই কাজটি এখন করা হচ্ছে, সেই সঙ্গে অন্য দল থেকে আরও অনেকে আমাদের দলে আসতে চাইছেন। কর্মীরা কোনো ধান্দাবাজির কথা না ভেবে মন থেকে তৃণমূল কংগ্রেস করে। কিন্তু এর মধ্যে কিছু ধান্দাবাজি নেতা দলকে ব্যবহার করে নিজেদের আখের গুছিয়ে নিয়েছেন। এর বিপরীতে দাঁড়িয়ে সততার সঙ্গে দল করে গিয়েছেন নিচুতলার যে সমস্ত কর্মী, আমরা তাদেরকে আবার গুরুত্ব দিতে চাইছি। লোকসভা ভোটের পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে জেলায় আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি যাতে মাথা তুলতে না পারে, তার জন্য আমরা কর্মীরা সংগঠিত হয়ে ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্র দখলের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি।”

এদিকে এই ব্যাপারে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে জেলায় আমাদের রাজনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার মানুষ এখন বিজেপির উপর ভরসা রাখছেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বেশি সংখ্যক কর্মী আমাদের দলে যুক্ত হচ্ছেন। আমাদের এই যোগদান কর্মসূচী চলবে। যত নির্বাচনের দিন এগোতে থাকবে, ততই কর্মসূচিতে চমক বাড়বে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতা আমাদের দলে যোগ দেবেন।”

সব মিলিয়ে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে করোনা আবহের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় কোন দলে কত সংখ্যক কর্মী যুক্ত হল, তা নিয়ে রীতিমত প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। তবে কাদের পাল্লা সবথেকে বেশি ভারী, তা আগামী নির্বাচনের ভোটবাক্স খোলার পরই প্রমাণিত হয়ে যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!