এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনা কি ঘুরিয়ে স্নায়ু ও হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিচ্ছে প্রবলভাবে? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা

করোনা কি ঘুরিয়ে স্নায়ু ও হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিচ্ছে প্রবলভাবে? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  স্ট্রোক মানুষের শরীরের এমনই একটি অবস্থা যা কিনা সরাসরি মস্তিষ্ককে আঘাত করে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া বা রক্তক্ষরণের ফলে স্ট্রোক হতে পারে এর ফলে মস্তিষ্কের টিস্যু গুলি অক্সিজেন পায় না এবং মস্তিষ্কের কোষগুলির মারা যেতে শুরু করে। ডাক্তারি ভাষায় এই ধরনের রোগকে স্ট্রোক বলা হয়।

এটি যেকোনো সময় ঘটতে পারে এবং যেকোনো মানুষের সঙ্গেই ঘটতে পারে। তবে সাধারণত যাদের উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা আছে এবং যাদের ডায়াবেটিস আছে, যারা হার্টের সমস্যায় ভোগেন, তাদের ক্ষেত্রে স্ট্রোকের সুযোগ অনেকটাই বেড়ে যায়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পূর্ব নির্ধারিত কিছু লক্ষণ দেখে আগে থেকে সাবধানতা অবলম্বন করে চিকিৎসকের কাছে গেলে, অনেকটাই রেহাই মেলে।

এর লক্ষণ গুলি হল –  ১)মনোযোগ দিয়ে কিছু বুঝতে অসুবিধা।
২) মুখ হাতে পায়ে সাড় না পাওয়া
৩) চোখের সমস্যা
৪) মাথাব্যথা
৫)হাঁটতে চলতে ভারসাম্য রাখতে সমস্যা।

তবে বর্তমানে করোনা আবহে যাঁরা চিকিৎসা করাতে যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে অনেকের স্ট্রোকের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এছাড়া এমনও অনেকে আছেন যারা কিনা স্ট্রোকে মারা গেছেন, পরে তাদের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে পজিটিভ। সেক্ষেত্রে মানুষটি স্ট্রোকে মারা যাওয়ার পর করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কিনা, নাকি করোনা হয়ে তাঁর স্ট্রোক হয়েছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না ডাক্তাররা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

করোনা যে ফুসফুস বা হার্ট এর ক্ষতি করে তা জানেন অনেকে। সেই সঙ্গে করোনার লক্ষণ হিসেবে যুক্ত হয়েছে মাথা ব্যাথা, গন্ধ না পাওয়া, স্বাদ না পাওয়ার মতো ঘটনা। যা কিনা স্ট্রোকের ও লক্ষণ। আর এখানেই ডাক্তারদের মধ্যে শুরু হয়েছে ধন্দ। তবে সম্প্রতি একটি গবেষণায় জানা গেছে, আমাদের দেশে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার হার অনেক কমে গেছে। ডাক্তারদের মতে স্ট্রোক ৩ ধরনের হতে পারে।

প্রথমত:- ইসকেমিক স্ট্রোক। এক্ষেত্রে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেলে এই স্ট্রোক হয়।
দ্বিতীয়তঃ- হেমোরেজিক স্ট্রোক। এক্ষেত্রে মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে।
তৃতীয়তঃ- ক্ষণস্থায়ী ইসকেমীক স্ট্রোক। এক্ষেত্রে কিছু সময়ের জন্য মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়।

তবে ডাক্তারদের কথায়, করোনা আবহে যে সমস্ত রোগী আসছেন তাদের মস্তিষ্কের দুদিকেই প্রভাব ফেলছে স্ট্রোক। সেক্ষেত্রে কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, যেহেতু নাকের মাধ্যমে ভাইরাস মস্তিষ্কে পৌঁছায় সেক্ষেত্রে মস্তিষ্কে এর প্রভাব পড়ছে। সেই সঙ্গে রক্তের সঙ্গে মিশে গিয়েও শরীরের যেকোনো জায়গায় পৌঁছতে পারে এই ভাইরাস।

তবে চিকিৎসকের মতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এখন অনেকেই বাড়িতে বসে চিকিৎসা করাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে যদি স্ট্রোকের কোনো সম্ভাবনা থেকেও যায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সাথে করোনা রোধে যাবতীয় সতর্কতাও প্রয়োজন। যাদের আলাদা অসুখ রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে। তবে ভয় না পেয়ে সামান্য সতর্ক থাকলেই সুস্থ থাকতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!