এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > দিলীপ ঘোষ আর বাবুল সুপ্রিয়র দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে,জেনে নিন

দিলীপ ঘোষ আর বাবুল সুপ্রিয়র দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে,জেনে নিন


অতীতেও বিজেপি সভাপতি বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন এবং যা ভাইরাল হয়েছে। এদিন আবারও বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে আসলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার সিএএ বিরোধীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন তিনি। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে ঘিরে গোটা দেশে জ্বলছে বিক্ষোভের আগুন। আর সেই বিক্ষোভের আগুনকেই আরেকটু উসকে দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তবে এবার এমন একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন তিনি নিজের দলকে নিয়ে, যার ফলে দলের অন্দরেই সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।

এবার খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এদিন তীব্র সমালোচনা করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের। সারা দেশজুড়ে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে তুমুল বিক্ষোভ চলছে। যার রেশ আসাম, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি রয়েছে। রবিবার নদীয়ার রানাঘাটে নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির সমর্থনে একটি সভা থেকে দিলীপ ঘোষ পরিষ্কার করে বলেন, উত্তরপ্রদেশ, আসাম, কর্নাটকের মত বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে নাগরিকত্ব আইন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের গুলি করে মারা হয়েছে কুকুরের মত।

এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘এক কোটি অনুপ্রবেশকারী এখানে রয়েছে, তাঁরা আমার, আপনার টাকায় খাচ্ছে। অন্তত পাঁচ- ছ’শো কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে একটা লাঠিও চলেনি, গুলিও চলেনি, দিদির পুলিশ কাউকে গ্রেফতারও করেনি। ভোটার বলে কিছু বলছেন না? আর দেখুন অসমে, উত্তরপ্রদেশে, কর্নাটকে এই শয়তানদের আমাদের সরকার কুকুরের মতো গুলি করে মেরেছে। কেসও দিয়েছে। এখানে এসে খাবেদাবে আর এখানকার সম্পত্তি নষ্ট করবে, জমিদারি পেয়েছো নাকি? লাঠিও মারব, গুলিও মারব, জেলেও ঢুকিয়ে রাখব। তাই করেছে আমাদের সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুরোদ নেই কিছু করতে পারেন না।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই বিতর্কিত মন্তব্য সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তীব্র সমালোচনা ছড়িয়ে পড়ে রাজনৈতিক মহলে। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশ, অসম, কর্ণাটকের বিজেপি সরকার কখনওই মানুষকে গুলি করে হত্যা করেনি। খুবই দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করেছেন দিলীপদা। উনি কী বলেছেন, তার দায় বিজেপি-র নয়।’ এর আগেও একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করে সংবাদের শিরোনামে এসেছেন দিলীপ ঘোষ। কিছুদিন আগেই কৃষ্ণনগরে একটি সভা চলাকালীন অ্যাম্বুলেন্সকে পর্যন্ত তিনি রাস্তা পরিবর্তন করতে বাধ্য করেন। কিন্তু নিজে তিনি পথ ছাড়েননি অ্যাম্বুলেন্সটিকে। এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে তুমুল নিন্দার ঝড় ওঠে। এবার আবারও নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করলেন তিনি, যার ফলে তাঁর নিজের দল বিজেপি চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

দিলীপ ঘোষের এই বিতর্কিত মন্তব্য সামনে আসার পর রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরেও এই বক্তব্যকে ঘিরে সমালোচনা হলেও এখনো পর্যন্ত কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বারংবার যদি এভাবে রাজ্য বিজেপি সভাপতি বিতর্কিত মন্তব্য করতে থাকেন, তাহলে রাজনৈতিক মঞ্চে তার প্রভাব অচিরেই বিলুপ্ত হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। আপাতত তাঁর বক্তব্যের খেসারত তাঁর নিজের দল বিজেপিকে দিতে হবে বলে দাবি করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশের। এবার দেখার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য বিজেপির সভাপতির এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কি ব্যবস্থা নেয়। আপাতত সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!