এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > অভিষেকের মন্তব্যের পাল্টা দিলেন দিলীপ ঘোষ

অভিষেকের মন্তব্যের পাল্টা দিলেন দিলীপ ঘোষ

নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে দেশের সর্বত্র পেট্রোপণ্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সরব হয়েছে বহু রাজনৈতিক দল। এতে পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গও। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস , কংগ্রেস সকলেই নিজেদের মতন করে এই ঘটনার প্রতিবাদ করছে। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের এই প্রতিবাদের সমালোচনা করে এবার মুখ খুললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীর তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবাদ কে হালকা চালে নিয়ে এদিন দিলীপ বাবু বললেন, “ পেট্রলের যে দাম বেড়েছে সেটা আমরা অস্বীকার করছি না। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে নয় যে তারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বা কমিয়ে দিয়েছে। তবে কেন বাড়ছে সেই নিয়ে তারা প্রতিনিয়ত চিন্তায় রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে তা আমরা জানি। দিদির যদি এত দরদ থাকে তাহলে বাংলার ট্যাক্সটা (পেট্রল ও ডিজেলের উপর) একটু কমিয়ে দিন না। বাংলায় তো সবথেকে বেশি ট্যাক্স দেওয়া হয়। আমরা পারছি না। যখন পারব, তখন করব। যারা বড় বড় কথা বলছে তারা একবার কমিয়ে দিয়ে দেখাক” গতকালই কলকাতা ময়দানে পেট্রোল ডিজেলের ক্রমাগত মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অনির্দিষ্ট কালের জন্যে অনশনে বসলেন সাংসদ তথা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্ব ভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

অনশন মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কে কার্যত এক হাত দিয়ে তিনি বললেন, “মমতা দিচ্ছেন কন্যাশ্রী। আর দিলীপ ঘোষরা অস্ত্রশ্রী, তরোয়ালশ্রী।” তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই দিলীপ বাবু তাঁর রাজ্য সরকারের প্রতি সমালোচনা মূলক মন্তব্য করলেন। শুধু এইটুকু বলেই ক্ষান্ত হলেন না দিলীপ বাবু তিনি রাজ্যের বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতির সরলীকরণ করে বললেন , “কে কোন শ্রী, সেই করে করে তো বাংলাটাকে বিশ্রী করে দিয়েছে। ওনারা যেভাবে সন্ত্রাসশ্রী দেখালেন, ভাগাড়শ্রী করলেন, এর তো কোনও তুলনা নেই। আমরা গরিব মানুষের আর্থিক ও সামাজিক যে অধিকার রয়েছে সেগুলি উন্নত করছি। উপর থেকে কেন্দ্রের পয়সা ছেড়ে আমরা ভোট কিনি না। আর মানুষ যে এই সব শ্রী ফি-তে বিশ্বাস করে না, তা নির্বাচনেই দেখিয়ে দিয়েছে। আর ওরাও জানে এভাবে মানুষকে কেনা যায় না। তাই জোর করে ভোট নেওয়ার চেষ্টা করেছে। এসব গল্প বলে কোনও লাভ হবে না। বিজেপিকে গালিগালাজ করে কী লাভ। তারা তো নিজেদের কাজটা করছে।” এছাড়াও সম্প্রতি জঙ্গলমহলে বিজেপির সাফল্য এবং শাসক দলের আকষ্মিক কোনঠাসা অবস্থান প্রসঙ্গে নিজের অভিমত জানিয়ে রাজ্যের গেরুয়া শিবির প্রধান বললেন , “জঙ্গলমহল আগে হাসছিল। এখন ওদের কাঁদিয়ে ছেড়েছে। ওরা পাহাড়ে কয়েকটা চামচাকে পয়সা দিয়ে কিনেছে। কয়েকটা বোর্ড তৈরি করেছে। মমতা ব্যানার্জি ওখানে গেলেই তারা ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। আর ওনার মিটিংয়ে লোক নিয়ে আসে। দুর্নীতির একেবারে চূড়ান্ত। পাহাড়ের মানুষ এদের ক্ষমা করবে না।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!