প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এখন যুব সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে শুরু করল ভারতীয় জনতা পার্টি। রাজ্য বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি হিসেবে সৌমিত্র খাঁ দায়িত্ব নেওয়ার পরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যায় তাকে। বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শাসকদলের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দেন তিনি। আর এবার বিভিন্ন জেলায় যুব মোর্চার সভাপতি নিয়োগের মাধ্যমে বিজেপি যুব সংগঠনকে চাঙ্গা করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল।

সূত্রের খবর, এদিন রাজ্যের 29 টি সাংগঠনিক জেলার নতুন করে যুব মোর্চার সভাপতি নিয়োগ করা হয়। তবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ভালো কাজের জন্য বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি করা হয় অভিষেক সেনগুপ্তকে। এদিকে অভিষেকবাবুর নাম যুব মোর্চার সভাপতি হিসেবে ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই রীতিমত জেলা বিজেপির যুব নেতা কর্মীরা আনন্দে এবং উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন।

এদিন অভিষেকবাবুকে ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে মিষ্টিমুখ করানো হয়। পাশাপাশি জেলা বিজেপির পার্টি অফিসে পটকা ফাটিয়ে, স্লোগান দিয়ে আনন্দ উদযাপন করে গেরুয়া শিবির। আর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিজেপির অভিষেকবাবুকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার যুব সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়ায় গেরুয়া শিবিরের যুব সংগঠন অনেকটাই শক্তিশালী হবে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

এদিন এই প্রসঙ্গে অভিষেকবাবু বলেন, “আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। আমার ওপর ন্যস্ত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে দলকে জেলায় মজবুত করতে সবাইকে নিয়ে কাজ করব।” একাংশ বলছেন, অভিষেক সেনগুপ্তকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিজেপির যুব মোর্চার দায়িত্ব দেওয়ার পিছনে প্রধান লক্ষ্য হল এই অভিষেকবাবুর ভালো ভাবমূর্তি রয়েছে।

এছাড়াও তিনি সাংগঠনিকভাবে অত্যন্ত দক্ষ একজন ব্যক্তি। তাই তার মত ব্যক্তিত্বকে এই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার যুব সংগঠন সামলানোর দায়িত্ব দিয়ে বিজেপি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জেলার যুবদের আরও বেশি করে নিজেদের দিকে টানতে চাইল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন দায়িত্ব পেয়ে অভিষেক সেনগুপ্ত জেলার যুব সংগঠনকে কতটা শক্তিশালী করতে পারেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।