এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তৃণমূলের পার্টি অফিস সমেত কংগ্রেসে গেলো দলের একাংশ !!

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তৃণমূলের পার্টি অফিস সমেত কংগ্রেসে গেলো দলের একাংশ !!

পঞ্চায়েতের আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তৃণমূলের পার্টি অফিস রাতারাতি হয়ে যাচ্ছে কংগ্রেসের। ১৯৯৮ তে তৃণমূলের জন্মলগ্নে পুরুলিয়ার বরাকর রাজ্য সড়কের বোঙাবাড়ি এলাকায় কংগ্রেস ত্যাগী কেপিসিংদেও- এর হাত ধরে গড়ে ওঠে তৃণমূলের ব্লক কার্যালয়। এরপর ২০১০ সালে গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে এর পাশেই গড়ে ওঠে আরো একটি তৃণমূল পার্টি অফিস। জানা গেছে নতুন পার্টি অফিসটি জেলা সভাপতি তথা পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়ন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতোর গোষ্ঠীর। এই গোষ্ঠী কোন্দলের কারণেই ২০১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের কাছে হার মানতে হয়েছিল তৃণমূলকে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এই অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বরাও। এবার এই অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেই ঘটলো উলটপুরাণ। এদিন বিকেলে কেপিসিংদেও-এর গোষ্ঠীর নামে পরিচিত তৃণমূলের আদি পার্টি অফিসটিতে হঠাৎই তৃণমূলের পতাকার বদলে কংগ্রেসের পতাকা উড়তে দেখা গেলো। দলবদল তো চলছেই এবার তৃণমূলের আস্ত একটি পার্টি অফিস সম্পূর্ণরূপে বদলে গেলো। চুন দিয়ে মুছে দেওয়া হলো তৃণমূল কার্যালয়ের দেওয়াল লিখন। এ বিষয়ে পুরুলিয়ার ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি প্রভাস মাহাতো মন্তব্য করেন, “ওই পার্টি অফিসে যারা বসতেন তারা তৃণমূল কার্যালয় লিখে রাখলেও সবসময় দলবিরোধী কাজ করতেন। খুব ভালো হল তাঁরা নিজেরা সরে গেলেন। এবার আর আমাদের কোন সমস্যা রইল না।” এদিন পুরুলিয়ার বন ও ভূমি কর্মাধক্ষ্য হলধর মাহাতো বিষয়টিকে কটাক্ষ করে বলেন, “ভালোই হল চুন ছাড়াই শরীর থেকে জোঁককে সরানো গেল। এবার পঞ্চায়েতে এই ব্লক এলাকায় দারুণ ফল হবে।” এদিকে ওই আদি পার্টি অফিসের দায়িত্বে থাকা হৃষীকেশ মাহাতো পার্টি অফিস বদলের সপক্ষে যুক্তি দিয়ে জানান,”এটাই তৃণমূলের আদি কার্যালয় ছিল। এই অফিসে যারা বসেন তাদেরকে দল সম্মান দেয়নি। ব্রাত্য করে রেখেছে। তাই আমরা এই অফিস বদলে সকলে মিলে কংগ্রেসে যোগ দিলাম। যদিও সত্তরের দশকে এই কার্যালয় কংগ্রেসেরই ছিল। তখন এই অফিস ছিল টালির। কে পি সিং   টালি থেকে দালান করেন।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!