এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আদালতে বড়সড় ধাক্কা বিশ্বভারতীর, আদালতের প্রবল ভৎসনার মুখে বিশ্বভারতী কতৃপক্ষ

আদালতে বড়সড় ধাক্কা বিশ্বভারতীর, আদালতের প্রবল ভৎসনার মুখে বিশ্বভারতী কতৃপক্ষ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আদালতে এবার বড়সড় ধাক্কা বিশ্বভারতী কতৃপক্ষর। গতবছর আমফানের ত্রাণের কারণে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ দান করার উদ্দেশ্যে বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে একটি বিশেষ নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। যে নির্দেশে জানানো হয়েছিল যে, সমস্ত অধ্যাপকদের বাধ্যতামূলকভাবে একদিনের বেতন ত্রাণ তহবিলে জমা দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। এই মামলার শুনানিতে তাঁর অভিমতকেই সমর্থন জানালো আদালত।

এই মামলার রায় দিতে গিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানালেন যে, দান-অনুদান কখনোই কারো ইচ্ছা-অনিচ্ছা বা মতামত ছাড়া হতে পারে না। এক্ষেত্রে উদ্দেশ্য ভালো হলেও লক্ষ্যে পৌঁছতে একতরফাভাবে কখনোই জোর করে দান বা অনুদান নেওয়া যায়না। অনুদানের নামে কারো আইনি অধিকার কেড়ে নেওয়া যায়না। কারো বিরুদ্ধে জোর করে কিছু কেড়ে নেওয়া হলে, তা কখনোই দান বা অনুদান হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। ইচ্ছা অনুসারেই দান গ্রহণ করা উচিত। দানের জন্য জোর করে বেতন কাটা যায় না। তিনি জানিয়েছেন, একতরফাভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাবীন্দ্রিক সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিরোধিতা করা হয়েছে বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এক্ষেত্রে বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়েছেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা-অনিচ্ছার কোনো রকম তোয়াক্কা না করে জোর করে বেতন কেটে নিয়েছে। রায় দেবার সময় দান, অনুদানের মধ্যে পার্থক্য করতে গিয়েও বিচারপতিকে সমস্যায় পড়তে হয়। তিনি নির্ধারণ করার চেষ্টা করেন যে, দান-অনুদান এর মধ্যে কোনটি স্বেচ্ছায় নেওয়া যায়। এজন্য তিনি একাধিক অভিধানের সাহায্য নেন। এরপর বিচারপতি নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ভৎসনা করলেও কেটে নেওয়া অর্থ মামলাকারীকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়নি আদালতের পক্ষ থেকে। জানানো হয়েছে, যেহেতু এই অর্থ ত্রাণ তহবিলে জমা পড়ে গেছে। তাই সেখান থেকে তা ফিরিয়ে আনা যায় না। এর ফলে এই অর্থ আর ফেরত পাবেন না অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয়কেও এমন কোনো নির্দেশ দেয়া হয়নি আদালতের পক্ষ থেকে।

এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন যে, ইচ্ছা-অনিচ্ছার কোন তোয়াক্কা না করেই জোর করে বেতন কেটে নেওয়া হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে। এর দ্বারা একটা বার্তা দিতে চেয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, যা হলো, যা ইচ্ছে করতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করেছে উচ্চ আদালত। এ প্রসঙ্গে আইনজীবী শামীম আহমেদ জানিয়েছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ছিল কোন কিছু নিয়ে উপাচার্যর সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত, যা হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। আদালতের ব্যাখ্যা, আইনি কোনো কিছুর উপর উপাচার্যের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, তবে বেআইনি কোনকিছুতে তা নয়।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!