এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ত্রিপুরা নিয়ে ক্রমশ চাপানউতোর বাড়ছে তৃণমূল ও বিজেপির, পাশাপাশি বাড়ছে কৌতুহল

ত্রিপুরা নিয়ে ক্রমশ চাপানউতোর বাড়ছে তৃণমূল ও বিজেপির, পাশাপাশি বাড়ছে কৌতুহল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সম্প্রতি বেশ কিছুদিন যাবৎ ত্রিপুরা নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কার্যত ত্রিপুরা রাজ্যকে কেন্দ্র করে চাপানউতোর শুরু হয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। একুশে নির্বাচনের পর্ব মেটার পর থেকেই বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠন বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে প্রথম ত্রিপুরার দিকে নজর পড়ে তৃণমূলের। প্রথমে ত্রিপুরায় তৃণমূলের সাংগঠনিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে সেখানে সমীক্ষা চালাতে যায় তৃণমূলের স্ট্র্যাটেজি দল আইপ্যাকের 23 জন কর্মী। কিন্তু সেখানে গিয়ে সমীক্ষা পর্ব শুরু করতে পারেনি তাঁরা। আগরতলা পুলিশের হাতে করোনা বিধি ভঙ্গের অভিযোগে তাঁরা আটক হয়।

তাঁদেরকে হোটেলে নজরবন্দি করে রাখা হয়। এই অবস্থায় তৃণমূল নেতৃত্ব ত্রিপুরা সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বন্দীদের মুক্ত করার জন্য   গত দুদিনে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা ত্রিপুরায় পৌঁছেছেন। অন্যদিকে ত্রিপুরা রাজ্যে বিজেপিও পিছিয়ে থাকার নয়। তাঁরাও ক্রমাগত বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপির এক নেতা জানিয়েছেন, দুই রাজ্যে দলের প্রবক্তা যাতে একই সুরে কথা বলেন, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। কার্যত ত্রিপুরার বিষয়ে এবার যেমন রাজ্য নেতৃত্ব নজর রাখছে, সেরকমই কি বক্তব্য হবে এই বিষয়ে সেটাও ভেবে রাখা হচ্ছে আলোচনার মাধ্যমে।

আইপ্যাকের কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে বুধবার ত্রিপুরায় পৌঁছে গিয়েছেন বুধবার রাজ্যের দুই মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং মলয় ঘটক। তাঁদের সঙ্গে গিয়েছেন তৃণমূলের শ্রমিক নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা গেছেন তৃণমূলের দুই সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার। শুক্রবার দুপুরে শোনা যাচ্ছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছাতে পারেন সেখানে। যদিও তা নিয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি। অন্যদিকে রাজ্যের তৃণমূল নেতারা ত্রিপুরায় গিয়ে সেখানকার বিজেপি সরকার অর্থাৎ বিপ্লব দেব সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য শোনা যাচ্ছে, ত্রিপুরার বিজেপির নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। কার্যত বাংলার সন্ত্রাস নিয়ে যাবতীয় নথি ত্রিপুরা বিজেপির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ত্রিপুরার বিজেপির প্রধান মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বিজেপি হল একটি সর্বভারতীয় দল, যেখানে সমস্ত রাজ্যের সংগঠন একই সঙ্গে কাজ করে। তাই ত্রিপুরায় সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায় সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে সব জায়গাতেই। অন্যদিকে সুব্রত চক্রবর্তী আরও জানিয়েছেন, আলাদা করে তৃণমূলকে মোকাবিলা করার জন্য বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।

তথ্যের আদান প্রদানের জন্য রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ কিংবা অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। একদিকে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি বসে একের পর এক হেভিওয়েট মোদি বিরোধী শক্তির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন, ঠিক তখনই ত্রিপুরায় বিজেপির বিরুদ্ধে ঝাঁঝ বাড়িয়েছেন তৃণমূল নেতারা। কার্যত আইপ্যাক কর্মীদের সঙ্গে এহেন ব্যবহারের কারণ হিসেবে তৃণমূল মন্ত্রী ব্রাত্য বসুসহ অন্যান্যদের দাবি, তৃণমূলকে ভয় পেয়ে বিজেপি এই কাণ্ড করেছে। অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যদি ত্রিপুরায় যান, তাহলে তাকে বিজেপির তরফ থেকে বিক্ষোভ দেখানো হবে।

যদিও ত্রিপুরা বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কিশোর বর্মন এ কথা অস্বীকার করে জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় কেউ বহিরাগত নয়। কার্যত এই কথার মাধ্যমে বঙ্গ তৃণমূলকে কিছুটা কটাক্ষ করল বিজেপি বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে ত্রিপুরা বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কোনোভাবেই ত্রিপুরায় তৃণমূল জমি দখল করতে পারবেনা। সব মিলিয়ে ত্রিপুরা নিয়ে এখন টানটান উত্তেজনা রাজনৈতিক মহলে। এরমধ্যেই আবার অভিষেক ব্যানার্জ্জী ত্রিপুরা যেতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। তাই পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিচ্ছে, সেদিকে কড়া নজর রয়েছে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!