এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অধিকারী পরিবারকে নিয়ে এবার বিস্ফোরক উক্তি রাজ্য বিজেপি সভাপতির, ইঙ্গিত কি রাজনৈতিক দূরত্বের? সমালোচনা তুঙ্গে

অধিকারী পরিবারকে নিয়ে এবার বিস্ফোরক উক্তি রাজ্য বিজেপি সভাপতির, ইঙ্গিত কি রাজনৈতিক দূরত্বের? সমালোচনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য রাজনীতিতে আবারও বিস্ফোরক মন্তব্য রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে চলে আসেন তৎকালীন বিধায়ক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এরপর থেকেই অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্কের অবনতি হয়। একে একে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী এবং বাবা শিশির অধিকারী যিনি তমলুকের সাংসদ বলে পরিচিত তিনিও বিজেপিতে যোগ দেন। শিশির অধিকারীকে বিজেপির জনসভায় দেখা গিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত থেকে বিজেপির পতাকা গ্রহণ করতে। কিন্তু সে কথা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।

তিনি পাল্টা জানিয়েছেন অধিকারী পরিবারের পক্ষ থেকে শিশির অধিকারী এবং সৌমেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে তিনি জানেন না। পাল্টা তিনি জানিয়েছেন, অধিকারী পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা শুধুমাত্র বিজেপি সমর্থক। তাঁরা বিজেপিতে কোনদিনই যোগ দেননি। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে তীব্র জল্পনা। প্রসঙ্গত বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দিলীপ ঘোষের রাজনৈতিক দূরত্বের বহিঃপ্রকাশ হল এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। অন্যদিকে, দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে শিশির অধিকারী এবং সুনীল মন্ডলের সাংসদ পদ বাতিলের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে।

সেক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। অন্যদিকে মুকুল রায় বিধায়ক থাকাকালীন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আর এর পরেই বিজেপি উঠে পড়ে লেগেছে দলত্যাগ বিরোধী আইন এনে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ বাতিল করতে। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মুকুল রায়ের ওপর যে আইন লাগু হবে সেই একই আইন কিন্তু শিশির অধিকারী কিংবা সুনীল মন্ডলের ওপরেও লাগু হবে। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষ মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ ছাড়া নিয়ে এদিন জানিয়েছেন, মুকুল রায় দল যখন ছেড়েছেন তখন তাঁর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই দল ছাড়া উচিত ছিল। যদিও তিনি শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ ত্যাগ করা নিয়ে বিশেষ কিছু মন্তব্য করেননি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একইসাথে দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে সংবিধান স্বীকৃত এই আইন রাজ্যে প্রয়োগ করা হবে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গেরুয়া শিবির থেকে যদি আরও বেশ কয়েকজন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দেন অর্থাৎ যদি দুই-তৃতীয়াংশ চলে আসেন বিজেপি থেকে তাহলে কিন্তু দলত্যাগ বিরোধী আইন আর কার্যকর হবে না। আর সেই আশংকাই এখন বড় আকারে মাথাচাড়া দিয়েছে গেরুয়া শিবিরে। প্রসঙ্গত, গেরুয়া শিবিরের অধিকাংশ বিধায়ককে গতকাল রাজভবনে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে।

এই অবস্থায় বিজেপির পক্ষ থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দলত্যাগ বিরোধী আইন রাজ্যে প্রণয়ন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অন্যদিকে শিশির অধিকারীকে নিয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি আজকে যে মন্তব্য করলেন, তা নিয়েও জলঘোলা শুরু হয়ে গেছে। তবে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য নিয়ে অধিকারী পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। এই ঘটনা থেকে গেরুয়া শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব সামনে এলো বলেই মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!