অধীরের আবেদনে সাড়া কেন্দ্রের, খুশির হাওয়া মুর্শিদাবাদে! কংগ্রেস জাতীয় মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য August 4, 2021 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- প্রায় অনেকদিন ধরেই তিনি চেষ্টা করছিলেন, যাতে ভারত-বাংলাদেশ যাতায়াতের একটা আন্তর্জাতিক পথ তৈরি করা যায়। বহুবার এই নিয়ে দুই সরকারের কাছে আবেদন জানালেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। কিন্তু বেশ কিছুদিন আগে বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি চিঠি লিখেছিলেন। যেখানে মুর্শিদাবাদের কাকমারি সীমান্ত দিয়ে যাতে আন্তর্জাতিক বন্দরের বিষয়ে সমস্যার সমাধান করা যায়, তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলেন তিনি। অবশেষে তার আবেদনে সাড়া দিল কেন্দ্রীয় সরকার। যেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়টি বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর দেওয়া এই চিঠির উত্তর দেওয়ার কারণে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন এই এলাকার সাধারণ মানুষ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি সীমান্তের মানুষের কাছে আন্তর্জাতিক বন্দর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আশার আলো তৈরি হয়েছিল। তবে কখনোই এই ব্যাপারে কোনো সরকারের পক্ষ থেকে সদুত্তর মেলেনি। কিন্তু অবশেষে অধীর রঞ্জন চৌধুরী কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দেওয়ার পর যেভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উত্তর এল, তাতে আশা তৈরি হয়েছে নানা মহলে। এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা হাদিউল ইসলাম বলেন, “জলঙ্গি সীমান্তের মানুষ পদ্মার ভাঙ্গনে সর্বস্বান্ত। ফলে এলাকার হাজার হাজার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছেন। সেদিক দিয়ে আন্তর্জাতিক বন্দর তৈরি হলে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলেই আশা করছি। গোটা বিষয়টি সরকারের গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই ব্যাপারে চিঠি এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উত্তর খুশির বাতাবরণ তৈরি করেছে তৃণমূলের মধ্যেও। এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল বলেন, “এটা জলঙ্গির জন্য ভীষণ খুশির খবর। যদি ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এই এলাকা দিয়ে বন্দর তৈরি করা হয়, তাহলে যেমন দেশের মানুষ ভীষণ ভাবে উপকৃত হবেন, ঠিক তেমনই প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে।” একইভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আসা এই চিঠি যে যথেষ্ট আশাবাদী করে তুলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত জলঙ্গি বর্ডার ডেভেলপমেন্ট কমিটির সম্পাদক জুলফিকার আলি। একাংশ বলছেন, আন্তর্জাতিক বন্দর যদি সত্যিই তৈরি হয়ে যায়, তাহলে এলাকার মানুষ যথেষ্ট খুশি হয়ে উঠবেন। পাশাপাশি এলাকার অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড অত্যন্ত শক্তিশালী হবে। তাই এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং তার ফলে কতটা উপকৃত হন এলাকার মানুষ, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -