এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > আদি নেতাদের ডানা ছাঁটা অব্যাহত? প্রবলভাবে বাড়ছে কৈলাশ-মুকুলের আধিপত্য? অশান্তি বিজেপিতে?

আদি নেতাদের ডানা ছাঁটা অব্যাহত? প্রবলভাবে বাড়ছে কৈলাশ-মুকুলের আধিপত্য? অশান্তি বিজেপিতে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য কমিটির সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে অপসারিত করা হলো। তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে অপসারণের কারণে দিলীপ ঘোষ যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হয়েছেন দলের প্রতি। এই ঘটনার পর দিলীপ ঘোষের আপ্ত সহায়ক দেব সাহা ফেসবুকে এক বিশেষ পোস্ট করেছেন। যা দলের গোষ্ঠী কোন্দলের প্রতি দিকনির্দেশ করছে।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁর সঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রবল মতভেদ দেখা দিয়েছিল। সৌমিত্র খাঁর গড়া কমিটি ভেঙে দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। এ ঘটনার পর সৌমিত্র খাঁ তাঁর পদ ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্তের হস্তক্ষেপে তাঁর সিদ্ধান্ত বদল ঘটে। এই ঘটনার অল্পদিন পরেই দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করা হলো।

সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হয়েছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও তাঁর অনুগামীরা। অভিযোগ উঠেছে দিলীপ ঘোষকে দলে কোণঠাসা করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে দিলীপ ঘোষ পদত্যাগ করতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে। এই আবহেই রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের আপ্ত সহায়ক দেব সাহা ফেসবুকে পোস্ট করেছেন, ” বর্গি দেশের এক উজির বারবার পশ্চিমবঙ্গ আঘাত হানছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে সঙ্গে আছে কিছু বর্গি পেয়াদা।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফেসবুকে তাঁর এই পোস্ট অল্পসময়ের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে পড়ে। যা নিয়ে শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। অনেকে মনে করছেন এই পোস্টটি কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়কে নিশানা করে করা হয়েছে। এই পোস্টে বলতে ‘ উজির’ বলতে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও ‘পেয়াদা’ বলতে মুকুল রায়কে বোঝানো হয়েছে। তবে অল্প সময়েই এই পোস্ট মুছে দেওয়া হয় ফেসবুক থেকে। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান, ” দেব ছোটো ছেলে। রাজনীতিতে অপরিণত, ও ভেবে কিছু লেখেনি। তার পোস্ট নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে।”

অল্প সময়ের মধ্যেই এই পোস্ট মুছে দেওয়া হলেও, এই পোস্টকে নিয়ে বিতর্ক বাড়তেই থাকে। অনেকে মনে করছেন সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনাকেই বিজেপিতে বর্গী হানার সঙ্গে তুলনা করলেন দিলীপ ঘোষের আপ্ত সহায়ক।এর দ্বারা কেন্দ্রীয় নেতা ও তাঁর অনুগামীদের কটাক্ষ করা হয়েছে। আবার এর মধ্যে আরেকটি জল্পনাও শুরু হয়েছে, শোনা যাচ্ছে দিলীপ ঘোষকে স্বপদে বহাল রেখে একজন কার্যনির্বাহী সভাপতি রাখা হতে পারে। যা হলে দিলীপ ঘোষ স্বপদে বহাল থাকবেন, কিন্তু তাঁর ক্ষমতা হ্রাস পাবে।

অনেকের অভিযোগ, সম্প্রতি রাজ্য বিজেপিতে পুরনো নেতাদেরকে কোণঠাসা করে নতুনদের প্রাধান্য ক্রমশ বাড়ছে। মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়দের ক্ষমতা ক্রমাগত বাড়ছে। কেন্দ্রীয় পদ থেকে অপসারিত হয়ে দলে অনেকটাই কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন রাহুল সিনহা, এবারে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেও কি তেমনি করা হবে? যা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা।ফলে বাড়ছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!