এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > আবহাওয়া > বিদায় নিয়েও বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপের জন্য আবারো বাংলায় জাঁকিয়ে বসতে চলেছে তুমুল বর্ষণ?

বিদায় নিয়েও বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপের জন্য আবারো বাংলায় জাঁকিয়ে বসতে চলেছে তুমুল বর্ষণ?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পুজোর মুখে প্রতিবছরের মতো এ বছরেও বৃষ্টি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন আবহাওয়াবিদরা। কিন্তু অবশেষে সেই পরিস্থিতি সামলানো গেছে। কারণ নিম্নচাপের অভিমুখটি বাংলাদেশের দিকে ঘুরে যায়। ফলত, রাজ্যের মানুষ প্রবল বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পায়। ইতিমধ্যেই বর্ষা বিদায় নিয়েছে দক্ষিণবঙ্গ থেকে। কিন্তু বৃষ্টির সময় যেন আর শেষ হচ্ছেনা। শনিবারও দুপুরের পর থেকে আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা। কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে মাঝেমধ্যে। রবিবারেও একই অবস্থা থাকতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।

পুজোর মধ্যে নিম্নচাপ নিয়ে ছিল চরম উদ্বেগ। করোনার কারণে এমনিতেঈ পুজো নিয়ে ছিল একাধিক প্রশ্ন। তার ওপর বৃষ্টির কারণে এবারের পুজো ভেস্তে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। যাইহোক, অবশেষে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি এড়ানো সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশে থাকায়। কিন্তু আবারও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। শনিবার দুপুরের পর থেকে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণ 24 পরগনা এবং উত্তর 24 পরগনার বেশ কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির জেরে রাতের দিকে তাপমাত্রাও কিছুটা কমে।

শুধু পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেই নয়- অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, পুদুচেরি, তামিলনাডু ও কেরলের মতন দক্ষিণ ও উত্তর-পূর্বের বেশ কয়েকটি রাজ্যে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে মৌসম ভবন থেকে। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবারের বৃষ্টিপাতের কারণ নিম্নচাপ। আর তার ফলেই নভেম্বরের শুরুতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। নিয়ম অনুযায়ী, গত 12 ই অক্টোবর কলকাতা থেকে বর্ষা বিদায় নেওয়ার কথা। কিন্তু এবারের বর্ষা বেশ কিছুটা দেরিতে গেছে। ফলে প্রতিবছর অক্টোবরের মাঝামাঝি শীতকালীন আবহাওয়ার শুরু হয়, এবার তা হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দিন কয়েক আগেও রাতের তাপমাত্রা 25-26 ডিগ্রির আশেপাশে ছিল। আর এর একমাত্র কারণ হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া পরপর নিম্নচাপ। তবে দশমীর পর থেকেই বাতাসে বোঝা যাচ্ছে, ঠান্ডা হওয়ার আমেজ। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে ঠান্ডা হওয়া শুরু হয়ে গেছে। রাতে এবং ভোরের দিকে তাপমাত্রা যথেষ্ট কম। তবে তা স্থায়ী নয় বলে মত আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের। বঙ্গোপসাগরে বর্তমানে যে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে, তার ফলে কিন্তু তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা থাকছে বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে সামনেই আসছে দীপাবলি। আর দীপাবলীর প্রারম্ভে যেভাবে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি দেখা যাচ্ছে, তাতে বাংলার বুকে আবারও তুমুল বর্ষণ শুরু হওয়ার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরে একের পর এক নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার ফলে আবহাওয়ার তারতম্য ভালোই বোঝা যাচ্ছে। এর ফলে ঠান্ডা-গরম দু’রকম আবহাওয়ায় মানুষ বেজায় নাকাল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে নিম্নচাপের শেষে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে বলেই আশা আবহাওয়াবিদদের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!