ভোট মিটতেই রণক্ষেত্র কেষ্টর-গড়, মাথা ফাটিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে বিজেপি সমর্থকদের বাড়ি বলে অভিযোগ মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য May 1, 2019 বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীদের দাবি মত পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে বেশি সন্ত্রাস কবলিত জেলা ছিল বীরভূম। রাস্তায় ‘উন্নয়ন বাহিনী’ দাঁড় করিয়ে বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল বিরোধীদের মনোনয়ন পর্যন্ত জমা করতে দেন নি বলে অভিযোগ। তা সত্বেও যে দু-এক জায়গায় নির্বাচন হতে পেরেছিল, সেখানেই পাপড়ি মেলেছিল পদ্ম। আর তাই, এবারের লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে ‘কেষ্টর উন্নয়ন বাহিনীকে’ স্তব্ধ করে সাধারণ মানুষ ভোট দেবার জন্য ব্যাকুল ছিল। নির্বাচনের আগেই বীরভূম জেলা নিয়ে বিভিন্ন জনমত সমীক্ষায় স্পষ্ট আভাস ছিল যে সেখানে পদ্ম শিবিরের তুমুল উত্থান হতে চলেছে। আর ভোট মেটার পরে, কি সেই তত্ত্বেই সিলমোহর পড়ল? কেননা, ভোটের দিন কার্যত নজরবন্দি হয়ে ছিলেন অনুব্রত মন্ডল, তা সত্বেও তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনেই ফোনে একাধিক নির্দেশিকা পাঠান দলীয় কর্মীদের – যা যথেষ্ট সন্দেহজনক। কিন্তু, সেইসব নির্দেশিকার পরেও কি বিজেপির উত্থান এই জেলাতে আটকানো যাচ্ছে না? এই প্রশ্ন উঠছে, কারণ ভোট পরবর্তী হিংসায় কার্যত জ্বলছে অনুব্রত-গড়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, অনুব্রত মন্ডলের ‘উন্নয়ন বাহিনীর’ দাপটে আউশগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় অশান্তির আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। একের পর এক বিজেপি সমর্থকদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি, মেরে বিজেপি কর্মীদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এমনকি, সেখানে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আক্রান্ত খোদ পুলিশই, ভাংচুর পুলিশের গাড়িতে! আর এই নিয়েই গেরুয়া শিবিরের স্পষ্ট অভিযোগ, তৃণমূলের ;উন্নয়ন বাহিনীর’ হাতে আক্রান্ত পুলিশ থেকে সাধারণ বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা, অথচ পুলিশ বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদেরই নাকি গ্রেপ্তার করছে! সূত্রের খবর, রাজনৈতিক উত্তেজনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে আউশগ্রামের যাদবগঞ্জ, সোমাইপুর, আউশগ্রাম, পাণ্ডুক ও এড়াল গ্রামে। এই রাজনৈতিক সংঘর্ষের কথা পুলিশের তরফেও মেনে নেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত। সূত্রের খবর, আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের রামনগর অঞ্চলের মোড়বাঁধে সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ। ওই ব্লকেরই এড়াল গ্রামে হাজরা পাড়ায় দুই বিজেপি কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাণ্ডুক গ্রামের হাটতলায় একজন বিজেপি কর্মীকে মারধর করে তৃণমূল বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে, মঙ্গলকোটের চানক গ্রাম পঞ্চায়েতের দশদিঘী গ্রামে বিজেপির আদিবাসী সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। একটি ভিডিও সামনে এনে দাবি করা হয়েছে, বিজেপি সমর্থকদের বাড়ি জ্বালিয়েও দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে ভোট পরবর্তী হিংসায় থমথম করছে অনুব্রত-গড়, যা নিয়ে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে গেরুয়া শিবিরে। আপনার মতামত জানান -