এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অখিল গিরিকেই দেওয়া হলো শুভেন্দু বধের দায়িত্ব। দলে তাঁর গুরুত্ব বাড়ালো তৃণমূল

অখিল গিরিকেই দেওয়া হলো শুভেন্দু বধের দায়িত্ব। দলে তাঁর গুরুত্ব বাড়ালো তৃণমূল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দলের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপরই মেদিনীপুরকে ৩৫/০ করার ডাক দিয়েছেন তিনি। হুঙ্কার দিয়ে তিনি জানিয়েছেন যে, মেদিনীপুরের ৩৫ টি আসলেই তিনি পরাজিত করবেন তৃণমূলকে। এরপর মেদিনীপুরে শুভেন্দু অধিকারীকে ঠেকাতে তৃণমূল বিশেষ গুরুত্ব দিলো অখিল গিরিকে। দলে ক্রমশ বাড়ছে তাঁর গুরুত্ব। এবার তাঁর ছেলেকেও দেয়া হলো দলের বিশেষ দায়িত্ব।

প্রসঙ্গত, রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি শুভেন্দু অধিকারীর ঘোর বিরোধী পরিচিত। গিরি পরিবারের সঙ্গে অধিকারী পরিবারের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীতা দীর্ঘসময়ের। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়তে শুরু করলেই, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর করা হয় অখিল গিরিকে। যদিও এখনও পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি শিশির অধিকারী। কিন্তু, দলে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন তিনি। সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি পদে আনা হলো অখিল গিরির পুত্র সুপ্রকাশ গিরিকে। এতদিন তিনি ছিলেন রাজ্য তৃণমূল যুব সহ সভাপতি। এবার তিনি জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি হলেন।

এতদিন পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি ছিলেন পার্থসারথি মাইতি। এবার পার্থসারথি মাইতিকে রাজ্য যুব তৃণমূল সহ-সভাপতি করা হলো। প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের সম্পর্ক খারাপ হতেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অখিল গিরির গুরুত্ব বাড়াতে শুরু করে। শাসকদল তাঁকে অধিক ক্ষমতা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে বিশেষ বার্তা দিতে চেয়েছিল। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুরের সভা থেকেও নাম করেছিলেন অখিল গিরির। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার, আগামী ৭ ই জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁথিতে সভা করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। যে সভার মূল দায়িত্ব নিয়েছিলেন অখিল গিরি। তিনি করোনা আক্রান্ত হলে বাতিল করে দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রীর সভা। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, অখিল গিরিকে ছাড়া এই সভার আয়োজন করা অসম্ভব। এ কারণেই তিনি অসুস্থ থাকায় বাতিল করা হলো মুখ্যমন্ত্রীর সভা। তিনি সুস্থ হলেই আবার এই সভার আয়োজন করবে শাসকদল তৃণমূল।

এককথায় পূর্ব মেদিনীপুরে অখিল গিরির দাপট ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁর পুত্র সুপ্রকাশ গিরিকে জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি করে অধিকারী পরিবারকে আরো কোণঠাসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাসকদল তৃণমূল, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। গিরি অখিল, সুপ্রকাশ গিরি দুজনেই শুভেন্দু অধিকারীর ঘোর বিরোধী। কিছুদিন আগে অখিল গিরি অভিযোগ করেছিলেন যে, শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী তৃণমূলে থেকেও বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।

এরপরই কাঁথির পুর প্রশাসক পদ থেকে অপসারিত করে দেয়া হয় সৌমেন্দু অধিকারীকে। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন যে, মেদিনীপুরের ৩৫ টি আসনেই তিনি পরাস্ত করবেন তৃণমূলকে। এর পাল্টা হিসেবে সুপ্রকাশ গিরি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, আগে তিনি নিজের জিতে দেখান, তারপর ৩৫ টি আসনের কথা। এভাবেই শুভেন্দু অধিকারীকে শায়েস্তা করতে অখিল গিরিকে সম্মুখে নামালো রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!