এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আলোচনায় গলছে বরফ? বিবাদ মিটিয়ে আবারো তৃণমূল-শুভেন্দু কাছাকাছি? নতুন মন্তব্য ঘিরে শুরু জল্পনা

আলোচনায় গলছে বরফ? বিবাদ মিটিয়ে আবারো তৃণমূল-শুভেন্দু কাছাকাছি? নতুন মন্তব্য ঘিরে শুরু জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট সম্প্রতি রাজ্য রাজনীতিতে শুভেন্দু অধিকারী বনাম তৃণমূল শিবিরের লড়াই জমে উঠেছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। শুভেন্দু অধিকারী দলের ছত্রছায়ায় বাইরে গিয়ে নিজস্ব সভা করছেন, দাদার অনুগামীরা তাঁর সম্পর্কে ব্যানার-পোস্টার দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীও একের পর এক তীব্র কটাক্ষ সহযোগে বার্তা দিয়ে গেছেন রাজ্যের শাসক দলকে। তার মধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি ঘোষণা করেছিলেন, রামনগরের সভা থেকে তিনি ‘মেগা শো’ করবেন। আর এই সভার দিকেই সবার নজর ছিল।

কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী বৃহস্পতিবার রামনগরের সভায় এসে সম্পূর্ণ অন্য কথা বললেন। তিনি রীতিমতো শিষ্টাচার বজায় রেখে জানিয়ে দিলেন তিনি দলের প্রাথমিক সদস্য। পাশাপাশি তিনি যে মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সেকথাও জানাতে ভোলেননি। পাশাপাশি তিনি জানান, তিনি এখনো পর্যন্ত দল ছাড়েননি বা মুখ্যমন্ত্রীও তাঁকে তাড়াননি। খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে এতদিন ধরে যে জল্পনা চলছিল তার কি কারণ? শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বিরোধীরাও কম মাথা ঘামাচ্ছিলেন না এতদিন ধরে। কিন্তু জানা গেছে, সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে শাসকদলের প্রবীণ নেতার বৈঠক হয়েছে। তাহলে কি এই বৈঠকেই কোন রফা সূত্র বেরিয়েছে?

অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠরা কিন্তু এখনো রহস্য বজায় রেখেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, সবকিছু কিন্তু এখনো শেষ হয়নি। শেষ কথা কিন্তু বলা হয়নি। তবে রামনগরে বক্তৃতা থেকেই শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দিয়েছেন, যে কোনো রকমের সম্ভাবনার দরজা খোলা। এদিন তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, রাজনীতিতে তাঁকে কেউ নিয়ে আসেনি। তিনি রীতিমতো লড়াই করে এই জায়গায় এসেছেন। তবে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত তিনি শাসক দলের সদস্য রয়েছেন। ভবিষ্যতে কি হবে, তা সময় বলবে। অন্যদিকে রামনগরের মঞ্চে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী এদিন স্পষ্ট জানান শুভেন্দু অধিকারী এবং তৃণমূল সম্পর্কে যারা নানান জল্পনা ছড়াচ্ছেন, তা তাঁদের নিজ দায়িত্বে করছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন রামনগরের সভা থেকে শুভেন্দু দাবি করেন, সমবায় আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁর দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি গ্রামীণ এলাকার প্রায় 5 লক্ষ পরিবারের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। তিনি আরও দাবি করেছেন, লকডাউন, করোনা, আমফানের সময় তিনি মানুষের পাশে থেকেছেন। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, শুভেন্দ্র অধিকারী যথেষ্ট কৌশলী রাজনীতিবিদ। রাজনৈতিক শিষ্টাচার মেনে তিনি যাবতীয় মন্তব্য করছেন এখনও পর্যন্ত। এইমুহুর্তে শুভেন্দু তৃণমূলের সদস্য পাশাপাশি মন্ত্রিসভার দুটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের মন্ত্রী। সুতরাং রাজনৈতিক পদে থেকে দল বা সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কিছু বলা যায়না।

তবে জানা গিয়েছে, তিনদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনায় বসে ছিলেন তৃণমূলের এক প্রবীণ সাংসদ। সূত্রের খবর, শুভেন্দু তাঁর যাবতীয় ক্ষোভ এই রুদ্ধদ্বার আলোচনায় উগড়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি নিজের শর্ত জানিয়েছেন, যা হল- প্রশান্ত কিশোরকে দল তথা সংগঠনের ব্যাপার-স্যাপার থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিষ্ক্রিয় করতে হবে। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি সংগঠন দেখতে হবে। আপাতত শুভেন্দুর সব শর্ত গৃহীত হবে কিনা, তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি।

কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী রামনগরের মঞ্চ থেকে যে বক্তব্য রাখলেন, তাতে স্পষ্ট আর হয়তো বেশ কিছুদিনের মধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর ব্যাপারটি কোনো-না-কোনো নিষ্পত্তির দিকেই এগোচ্ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী একজন গুরুত্বপূর্ণ সেনা। আর সেই সেনাকে কোনমতেই হারাতে চাইবেন না তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনায় বসা হয়। আর তাতেই হয়তো শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষোভ কিছুটা হলেও প্রশমিত হয়েছে। সেরকমই লক্ষণ দেখা গেল রামনগরের সভা থেকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!