এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অমানবিক! তৃণমূল নেতা ও দলবলের ‘সাহায্যে’ নিজের বৃদ্ধা মা-বৌদিকেই তালাবন্ধ করে দিল ছেলে!

অমানবিক! তৃণমূল নেতা ও দলবলের ‘সাহায্যে’ নিজের বৃদ্ধা মা-বৌদিকেই তালাবন্ধ করে দিল ছেলে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কর্মী বিশ্বজিৎ দাস তাঁর বৃদ্ধা মা ও বড় বৌদিকে তালা দিয়ে আটকে রেখেছেন বলে অভিযোগ। তাঁর মা এই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে খড়দা থানার পুলিশ বিশ্বজিৎ দাসকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তালা খুলে মুক্ত করে তাঁদেরকে।

পুলিশ সূত্রে খবর গত শুক্রবার খড়দহের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের নারায়ণ দাস কলোনির বাসিন্দা অণিমা দেবী অভিযোগ করেছেন যে, তাঁর মেজ ছেলে বিশ্বজিৎ দাস এক বছর হল বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। তিনি বড় ছেলের কাছেই থাকেন। তবে গত সপ্তাহ থেকে তাঁর মেজ ছেলে কয়েকবার বাড়িতে যাওয়া আসা করেছেন। তাঁর অভিযোগ বেশ কিছুদিন ধরে সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মেজো ছেলে তাঁর ওপর ব্যাপক মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছে। কিন্তু তিনি সম্মত হননি। তাঁর অভিযোগ এ কারণে তাঁকে ইতিপূর্বে বেধড়ক মারধর করেছে তাঁর মেজো ছেলে। এ বিষয়ে তিনি থানায় অভিযোগ দায়েরও করেছিলেন।

গত শুক্রবার সকালে তাঁর মেজো ছেলে বিশ্বজিৎ দাস পুনরায় কিছু লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে আসেন, যাঁরা নাকি এলাকায় সকলেই তৃণমূলের নেতা-কর্মী বলে পরিচিত বলে স্থানীয়স্তরে অভিযোগ। তাঁর অভিযোগ, বাড়ির সদর দরজায় এসময় তালা দেওয়া ছিল, কিন্তু তালা খোলার জন্য চাপ দিতে থাকেন তিনি। অনিমাদেবী রাজি না হওয়ায় বাইরে থেকে দরজায় তালা দিয়ে চলে যান তাঁরা। পুলিসের কথা বলতেই তাঁকে হুমকি দেয় তাঁর ছেলে।

সেসময় অনিমা দেবীর বড় বৌমা তথা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড এর প্রাক্তন কাউন্সিলর দোলা দাসও এই বাড়িতেই ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁর দেবর বিশ্বজিৎ দাস যিনি একজন তৃণমূল সদস্য তিনি খড়দহের পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান কাজল সিনহার বেশ কিছু লোকজনকে সঙ্গে এনে বাড়িতে চড়াও হয়। তারপর সদর দরজায় তালা দিয়ে চলে যাবার পর তাঁরা থানায় পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী বিশ্বজিৎ দাসের দাবি, ” আমি তালা দিইনি। ওই বাড়িতে আমার একটি অফিস রয়েছে। সেখানেই গিয়েছিলাম। কিন্তু মা ঢুকতে দিতে রাজি হননি। পরিবারের অত্যাচারে আমি বাড়ি ছেড়েছি। এই ঘটনায় রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই।”

খরদার এই পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করে শোরগোল পরে যায় সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে। এই বিষয়টিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলেও অনেকে মন্তব্য করেছেন। এ ঘটনায় খড়দহের পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান কাজল সিনহার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খড়দহ টাউন তৃণমূল সভাপতি সুকন্ঠ বণিক। এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ” একজন বৃদ্ধাকে তালা দিয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি। যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, এমন চলতে থাকলে ৩-৪ মাসে খড়দহ থেকে তৃণমূল দল উঠে যাবে।”

খড়দহের পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান কাজল সিনহা এই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা খড়দহ টাউন তৃণমূল সভাপতির অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ” এটা পারিবারিক ঘটনা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। দোলা পুরসভার কোঅর্ডিনেটর, তার সঙ্গে বিবাদ কেন থাকবে? আর দলের ভালমন্দের বিষয় দেখার দায়িত্ব সভাপতির।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!