এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অমানবিকতার ছবি খোদ কলকাতার বুকে! ২০ হাজার টাকা দিতে না পারায় হাসপাতালের বাইরেই মৃত রোগী!

অমানবিকতার ছবি খোদ কলকাতার বুকে! ২০ হাজার টাকা দিতে না পারায় হাসপাতালের বাইরেই মৃত রোগী!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরেই বেসরকারী হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে চলেছে সাধারণ জনগণ। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে বেসরকারি হাসপাতালগুলো যেভাবে সুযোগ নিয়ে চলেছে, তার বিরুদ্ধে ক্রমশ সুর চড়ছে রাজ্যবাসীর। ইতিমধ্যে রাজ্য প্রশাসন ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির করোনা চিকিৎসার চড়া বিলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে। বেশ কিছু নিয়মও জারি হয়েছে, কিন্তু তা সত্বেও অবস্থা যে বিন্দুমাত্র বদলায়নি তা এদিনের ঘটনায় আবার প্রকাশ পেল।

মাত্র কুড়ি হাজার টাকা বাকি পড়াতে হাসপাতাল ভর্তি নিতে রাজি হলোনা একজন করোনা রোগীর এবং দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পরে সেই রোগী যথারীতি মারা যান। এর পরেই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে মৃতের পরিবারবর্গ। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের বাসিন্দা এক বৃদ্ধা এবং তাঁর স্বামী অসুস্থতার কারণে চিকিৎসা করাতে কলকাতায় এসেছিলেন। শনিবার ওই বৃদ্ধার স্বামীর মৃত্যু হয়। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন বৃদ্ধাও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে পার্কসার্কাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখানে তাঁর করোনা পরীক্ষা হয় এবং রিপোর্ট পজিটিভ আসে বলে জানা গেছে। যথারীতি পার্কসার্কাসের বেসরকারি হাসপাতালটিতে করোনা রোগীদের জন্য কোন ব্যবস্থা না থাকায় বৃদ্ধার পরিবারের লোকজন তাঁকে নিয়ে কলকাতার ডিসান হাসপাতালে যান। আর এরপর থেকেই কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালের অমানবিক রূপটি উজ্জ্বল হয়ে চোখে পড়ে। বৃদ্ধার পরিবার অভিযোগ জানিয়েছে, প্রথমেই ওই হাসপাতাল থেকে ভর্তির বাবদ 3 লাখ টাকা ফিস জমা করতে বলা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেই মুহূর্তে ওই পরিবারটির কাছে অত টাকা না থাকায় টাকা জোগাড় করতে কিছুটা সময় যায়। শেষ পর্যন্ত যোগাড় হয় দু লাখ 80 হাজার। সেই টাকা জমা দিতে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাকি কুড়ি হাজারের দাবি করে। এই টালবাহানার মধ্যেই অ্যাম্বুলেন্সেই ওই বৃদ্ধা মারা যান। এর পরেই রোগীর পরিজনেরা ডিসান হাসপাতালের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেয়। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুরো ব্যাপারটি অস্বীকার করেছে। পাল্টা তাঁদের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, মৃত অবস্থাতেই ওই করোনা রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল।

এর আগেও অবশ্য কলকাতার বহু হাসপাতালেই টাকা জমা নিয়ে দরকষাকষির জেরে প্রাণ গেছে করোনা রোগীর। সম্প্রতি এই অবস্থায় রাশ টানতে উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু তা সত্ত্বেও বারেবারে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালের অমানবিক রূপটি নির্লজ্জভাবে প্রকাশ হয়ে পড়ে সবার কাছে। বারবার কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালগুলো প্রমাণ করে, রোগীর প্রাণের থেকেও টাকার দাম অনেক বেশি। এবং এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ যে কার্যকর করতে বিশেষ গা করে না বেসরকারি হাসপাতালগুলো তা আবার প্রমাণিত। এবার দেখার, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শাস্তিস্বরূপ কলকাতার ডিসান হাসপাতালের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!