প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কিছুদিন আগেই রাজ্যে হয়ে গেছে ভয়াবহ দুর্যোগ আমপান। আর সেই দুর্যোগের ক্ষতিপূরণ নিয়ে নানা সময়ে অভিযোগ করা হয়েছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে যেখানে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়েছে। আর এবার সেই আমপান দুর্নীতি মামলায় বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। যেখানে উচ্চ আদালতের নির্দেশ মতো বন্টন করা অর্থ অডিটের ভার গেল ক্যাগের হাতে। পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এই মামলায় তাদের অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মে মাসের এই ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের পর একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। যার পরবর্তীতে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা হয় মামলা। আর মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, ক্ষতিপূরণের বনটন হওয়া অর্থ অডিটের ভার দেওয়া হল ক্যাগের হাতে।

একাংশ বলছেন, এই ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত মামলা নিয়ে নানা তথ্য দেওয়া হলেও, কলকাতা হাইকোর্ট সেই ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেনি। পাশাপাশি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের রিপোর্টেও খুব একটা খুশি হননি বিচারপতিরা। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই ক্যাগকে দিয়ে অডিট করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি একাংশের। তবে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে ক্যাগকে দিয়ে এই রিপোর্ট করানোর কথা বলায়, এখন রাজ্যের শাসক দল এবং রাজ্য সরকার যে অনেকটাই অস্বস্তির মুখে পড়ল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

অনেকেরই প্রশ্ন, তাহলে কি কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারের বক্তব্যে খুব একটা খুশি নয়! আর তাই ক্যাগকে নিয়ে পৃথকভাবে রিপোর্ট করানোর কথা জানিয়ে দিল তারা? ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁকে স্বাগত জানিয়েছে বিরোধীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার বারবার দাবি করে এসেছে আমফানের টাকা খরচ করেছে তারা। এই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত। অডিটের ফলে সব হিসেব স্বচ্ছ হয়ে যাবে।”

একইভাবে এই ব্যাপারে রাজ্যের বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “যদি কোনো সরকারি কর্মচারী এর সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” অর্থাৎ বিরোধীরা কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে যে অনেকটাই খুশি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে এই নির্দেশ দেওয়ায় রাজ্য সরকার চাপে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় রিপোর্ট থেকে বেরিয়ে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।