এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > আমপান দুর্নীতি নিয়ে এবার এক সুর বাম-বিজেপির! বিধানসভার আগে ঘুম উড়তে চলেছে তৃণমূলের?

আমপান দুর্নীতি নিয়ে এবার এক সুর বাম-বিজেপির! বিধানসভার আগে ঘুম উড়তে চলেছে তৃণমূলের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা আবহে তৃণমূল সরকারের দিকে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি রাজ্যে দুটি দুর্নীতি রীতিমতো সাড়া ফেলে দেয়। প্রথমটি রেশনিং দুর্নীতি এবং তারপর আম্ফান ঝড়ের ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতি। বিরোধী দলগুলি এই নিয়ে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ শুরু করে। দেখা যায়, সাধারণ মানুষও এই প্রতিবাদে অংশ নিয়েছে। অন্যদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি এই দুর্নীতি রোধ করার নির্দেশ দেন এবং রাজ্য জুড়ে শুরু হয় শুদ্ধিকরণ। যদিও তাতে কতটা কাজ হয়েছে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থাকছে।

এবার দুবরাজপুর পুর এলাকায় দুর্নীতি নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে পোস্টার মারল বিরোধী দল বিজেপি। এর আগে এলাকার বাম শিবির থেকেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে জোরদার বিক্ষোভ দেখানো হয়েছিল। শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আম্ফান ক্ষতিপূরণের তালিকায় রয়েছে বিডিও অফিসের অস্থায়ী কয়েকজন কর্মী এবং আরো বেশ কয়েকজনের নাম, যাদের ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়ার কোনো যুক্তি নেই। দুবরাজপুর পুর এলাকায় পোস্টার মারার পরেই শুরু হয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য।

জানা গিয়েছে, দুবরাজপুর পুর এলাকায় বিজেপি যে পোষ্টার মেরেছে তৃনমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে, তাতে শুধুমাত্র আম্ফান ক্ষতিপূরণ নয়, রেশনিং দুর্নীতি এবং করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের টাকা নয়ছয় করার কথাও বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপি দাবি জানিয়েছে, করোনা আবহে রেশনের চাল বিলি শুরু হওয়ার পর দুবরাজপুর ব্লকে শাসকদল সেই চাল নিয়ে দলের নামে ত্রাণ বিলি করার চেষ্টা চালিয়েছিল। যদিও সেই প্রচেষ্টাকে আটকে দেয় বিজেপি বলে দাবী করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে দুবরাজপুর পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারপার্সন পীযূষ পান্ডে বিজেপির এই অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আমপানে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার সময় প্রশাসক পদে ছিলে মহকুমাশাসক। বিতর্ক সামনে আসার পর তৎপরতা শুরু হয়। এতে পুর এলাকার ব্লক অফিসের সঙ্গে জুড়ে থাকা চার জন ও পুর এলাকার আরও দু’জন—  মোট ছ’জন তাঁদের টাকা ফেরত দিয়েছেন।” অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, দুবরাজপুর পুর এলাকায় চাল চুরির কোন রকম ঘটনা ঘটেনি।

অন্যদিকে বিজেপি অভিযোগ জানিয়েছে- শুধু দুবরাজপুর শহরেই নয়, গ্রামাঞ্চলেও প্রবল দুর্নীতি হয়েছে আম্ফান ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে। বিজেপির দাবী, এমন মানুষদের আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হয়েছে যাদের দোতলা বাড়ি, গাড়ি রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ সিংহ জানিয়েছেন, প্রতিটি কাজের একটি নির্দিষ্ট সরকারি প্রক্রিয়া আছে। কারা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন তাঁদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি থাকলে প্রশাসন তা দেখে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুর্নীতিকে অস্ত্র করে এগিয়ে যেতে চলেছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। তবে রাজ্য জুড়ে দুর্নীতি নিয়ে শাসক-বিরোধী চাপানউতোর শুরু হয়েছে সেই করোনা আবহের সময়কাল থেকেই। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন হতে আর বেশী দেরী নেই। আর সে জায়গায় দাঁড়িয়ে তৃণমূল শিবির দলীয় দুর্নীতি দূর করতে শুদ্ধিকরণের ওপর যে বিশেষ জোর দিয়েছে সে কথা বলাই বাহুল্য। আপাতত দুর্নীতি নিয়ে বিরোধী দলের চড়া সুর নাকি শাসকদলের শুদ্ধিকরণ- ভোটবাক্সে কোনটি প্রভাব ফেলে বেশি সেদিকেই এখন লক্ষ্য রাখবে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!