এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > অমিত শাহ বঙ্গ ছাড়তেই আক্রান্ত বিজেপি যুব মোর্চার সদস্যরা, অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে

অমিত শাহ বঙ্গ ছাড়তেই আক্রান্ত বিজেপি যুব মোর্চার সদস্যরা, অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মারামারি, হানাহানি, সংঘর্ষ, খুনোখুনি ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি বারবার হামলা, হেনস্থার অভিযোগ এনেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে কাঁচরাপাড়ার শ্মশানে বিজেপির যুব মোর্চার দুজন সদস্যের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালাবার অভিযোগ উঠে এলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হামলায় দুজন আক্রান্ত হয়ে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে চিকিৎসারত। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানালেন রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সহ সভাপতি শঙ্কুদেব পান্ডা।

প্রসঙ্গত, দুদিনের জন্য রাজ্য সফরে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গতকাল শুক্রবার রাতে তিনি সফর শেষ করে দিল্লি রওনা হলেন।আর কাল রাতেই তৃণমূলের হামলা চালানোর অভিযোগ উঠে এলো বিজেপির যুব মোর্চার সদস্যের ওপর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে, রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ও রাজ্যের শাসন শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে বারবার অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল। গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্য ছেড়ে চলে যেতেই, রাজ্য বিজেপির দুই কর্মীর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাল বিজেপি।

স্থানীয় সংবাদ সূত্রে জানা গেছে যে, সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় ও শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায় এই দুই ভাই বিজেপির বিজেপির দুজন সক্রিয় কর্মী। তাঁরা দু’জনেই বিজেপির যুব মোর্চার সদস্য। তাঁরা উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচড়াপাড়ার বাসিন্দা। গতকাল শুক্রবার গভীররাতে তাঁদের এক বন্ধুর বাবার শেষকৃত্যের জন্য তারা শ্মশানে গিয়েছিলেন। অভিযোগ উঠেছে গতকাল রাতে শ্মশানে অকস্মাৎ চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাবাহিনী। তৃণমূলের এই গুন্ডারা তাঁদের উপর অকথ্য হামলা চালায়। ধারালো অস্র দিয়ে তাঁদেরকে আঘাত করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ ঘটনায় আক্রান্ত সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন যে, গতকাল রাতে তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডা বাহিনীর ২০ থেকে ২৫ জন সদস্য তাঁদের উপর হটাৎ চড়াও হয়ে, তাঁদেরকে মারধর করতে শুরু করে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁদেরকে আঘাত করা হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, তাঁরা বিজেপির যুব মোর্চার সদস্য বলেই তাদের উপর এমন আক্রমণ করা হয়েছে। তাঁদের উপর এই হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানালেন রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চা সহ-সভাপতি শঙ্কুদেব পাণ্ডা।

রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চা সহ-সভাপতি শঙ্কুদেব পাণ্ডা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে একটি টুইট করলেন। এই বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানাতে চলেছেন। তবে, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তাদের উপরে ওঠা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেছে। তৃণমূলের দাবি, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারা কেউই তৃণমূলের লোক নয়। বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের ফলেই এমন ঘটনা ঘটেছে।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কাঁচরাপাড়ায় বারবার গন্ডগোল, অশান্তি দেখা গেছে। ছোট-বড় রাজনৈতিক সংঘর্ষ প্রায়ই দেখা গেছে এই অঞ্চলে। গতকাল বিজেপির দুজন কর্মীদের উপরে যেভাবে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হলো, তাতে রাজনৈতিক জটিলতা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে, পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই ঘটনায় এখনো পুলিশের কাছে কোন পক্ষই কোন অভিযোগ দায়ের করেনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!