এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “অমিত শাহ সহ অনেক লিডার ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলায় এসে মাস্ক ব্যবহার করছেন না।” – বিস্ফোরক রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী

“অমিত শাহ সহ অনেক লিডার ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলায় এসে মাস্ক ব্যবহার করছেন না।” – বিস্ফোরক রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কিছুদিন ধরে দেশের করোনা সংক্রমণ অত্যন্ত ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় পৌনে ৩ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। দেশের এই ভীতিকর করোনা পরিস্থিতির জন্য প্রধানমন্ত্রী সহ কেন্দ্রীয় সরকারকেই অভিযুক্ত করলেন রাজ্যের মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানালেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ একাধিক বিজেপি নেতারা ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলায় এসে মাস্ক ব্যবহার করছেন না। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থেকে যারা আসছেন, তাঁদের অনেকেই করোনা নিয়ে রাজ্যে আসছেন। এর ফলে রাজ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে।

আজ তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু ও রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। সাংবাদিক বৈঠকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকেই অভিযুক্ত করলেন তিনি। মন্ত্রী জানালেন, করোনার জন্য দায়ী হলো কেন্দ্রীয় সরকার। মোদি সরকারের উপযুক্ত পরিকল্পনার অভাব ও অবহেলার কারণে করোনা আবার ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে।

পূর্ণেন্দু বসু জানালেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিমুহূর্তে খবর রাখছেন। বারবার সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছেন। মুখ্যমন্ত্রী আজ টুইট করে জানিয়েছেন যে, রাজ্যবাসীর জীবন বাঁচানোর জন্য তিনি প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। তিনি জানান, অতিরিক্ত ওষুধ ও ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। মন্ত্রী জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মানুষের জীবনের স্বার্থেই শেষ তিন দফার ভোট একদফায় করবার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাঁর সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। আগের সিদ্ধান্তেই অটল থেকেছে। তিনি আরো জানালেন, গত ২০২০ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত রাজ্য সরকার ৪ হাজার কোটি টাকা করোনা মোকাবেলায় খরচ করেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার মাত্র ২৭৯ কোটি টাকা রাজ্যকে দিয়েছে। এ কারণে কেন্দ্রকে ধিক্কার জানালেন তিনি। তিনি জানালেন, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর ইতিমধ্যেই সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে বেড সংখ্যা বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতাতে আর প্রচার করছেন না। জেলাগুলিতে সমাবেশ করা হলেও, সেখানে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই তিনি বক্তব্য শেষ করবেন। এরপরই পূর্ণেন্দু বসু জানালেন যে, দেশে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হলেও প্রধানমন্ত্রীর কোনো মাথাব্যথা নেই। তিনি বাংলাতে এসে নির্বাচনী প্রচার করে যাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ অনেক বিজেপি নেতা ইচ্ছাকৃতভাবে মাস্ক ব্যবহার করছেন না।

রাজ্যের বাইরে থেকে যারা আসছেন, তাদের মধ্যে অনেকেই করোনা নিয়ে রাজ্যে আসছেন। এর ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে। করোনা ছড়িয়ে পড়ছে রাজ্যে। পূর্ণেন্দু বসু জানালেন, সরকারি হাসপাতালে ২০ শতাংশ, বেসরকারি হাসপাতালে ২৫ শতাংশ বেড বৃদ্ধির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে আতঙ্কিত না হয়ে পড়েন, সেজন্যই এই খবর জনসমক্ষে তুলে ধরলেন তিনি। তিনি জানালেন, তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের জীবন বাঁচাতে চায়। রাজনীতি কখনোই মানুষের জীবনের ঊর্ধ্বে হতে পারে না। করোনা রুখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!