সরকারি অব্যবস্থাতেই চলে গেল তরতাজা প্রাণ, ক্ষোভে ফুঁসছে সরকারি কর্মচারী পরিষদ বিশেষ খবর রাজ্য December 2, 2017 গতকাল স্বাস্থ্যভবনে বদলির আদেশনামা নিয়ে বিক্ষোভ দেখতে গিয়ে অকালে চলে গেলেন কাজল কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর মৃত্যুর জন্য রাজ্য সরকারের অব্যবস্থাকেই দায়ী করছে সরকারি কর্মচারী পরিষদ। প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফ থেকে সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশীষ শীলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন পুরো প্রক্রিয়া এবং সরকারি অব্যবস্থা নিয়ে। পরে এক লিখিত প্রেস-বিজ্ঞপ্তিতে দেবাশীষ বাবু জানান – গতকাল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীন স্বাস্থ্যসচিবের আদেশ (ক্রমাঙ্ক – ৩৫৬২, তাং – ৩০.১১.২০১৭) অনুসারে হেলথ ডিরেক্টরেটে কর্মরত ৬৭ জনের একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে স্বাস্থ্যভবন থেকে বিভিন্নস্থানে বদলির আদেশনামা প্রকাশ করা হয়। এই আদেশনামাটি স্বাস্থ্য অধিকর্তা প্রকাশ না করে স্বাস্থ্যসচিবের নামে প্রকাশিত হওয়ায় কর্মচারীরা এক গভীর ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা করেন। বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে যে, ১৩০ জনের মত কর্মচারীর বদলির আদেশনামা প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর প্রতিবাদে আজ স্বাস্থ্যভবনের কর্মচারীরা স্বাস্থ্যসচিব মহাশয়ের নিকট বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিক্ষোভ চলাকালীন কাজল কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্বাস্থ্যভবনের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্ম্মরত জনৈক ডাক্তার তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে দ্রুত বিধাননগর হাসপাতালে রেফার করেন। পরিতাপের বিষয় স্বাস্থ্যভবনের কোনো ইসিজি মেশিন নেই এবং কোনো এম্বুলেন্সও ছিল না। ফলে প্রয়াত কাজলবাবুকে ওই অবস্থায় হাঁটিয়ে স্বাস্থ্যভবনের গেট পর্যন্ত এনে তারপর কোনোক্রমে একটি গাড়িতে করে বিধাননগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিধাননগর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। আমরা মনে করি যদি ইসিজি মেশিন এবং এম্বুলেন্স থাকতো তাহলে হয়তো কাজলবাবুকে বাঁচানো সম্ভব হত। সরকারের এই অমানবিক ব্যবহারের আমরা তীব্র নিন্দা করছি এবং ধিক্কার জানাচ্ছি। প্রয়াত কাজলবাবুর শোকার্ত পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাই এবং মৃত কাজলবাবুর পরিবারের একজনকে সত্ত্বর সরকারি দপ্তরে চাকরি দেবার দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি দমনপীড়ণমূলক ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন এই বদলির আদেশনামা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্মচারী পরিষদের দাবি মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবেন বলেও জানান সরকারি কর্মচারী পরিষদের আহ্বায়ক দেবাশীষ শীল। আপনার মতামত জানান -