এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অনুব্রত-গড়ে আর কি তৃণমূল নেতারা সুরক্ষিত নন? একের পর এক সুপারি কিলার গ্রেপ্তারে উঠছে প্রশ্ন

অনুব্রত-গড়ে আর কি তৃণমূল নেতারা সুরক্ষিত নন? একের পর এক সুপারি কিলার গ্রেপ্তারে উঠছে প্রশ্ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট একুশের বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসার সাথেই রাজ্যজুড়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ পাচ্ছে। এবার বীরভূমের নানুরে শাসকদলের এক নেতাকে খুন এর ছক ফাঁস। ঘটনা ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। স্থানীয় তৃণমূল শিবিরেও শুরু হয়েছে গুঞ্জন। দীর্ঘদিন তদন্ত চালিয়ে পুলিশ একের পর এক অভিযুক্তকে ধরতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই শান্তিনিকেতন থেকে চার বাংলাদেশিসহ ছয়জন গ্রেফতার হয়েছে পুলিশের হাতে বলে জানা যাচ্ছে।

একইভাবে ধৃতদের জেরা করে আরো তিনজনকে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে সম্প্রতি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত তিনজনের নাম শেখ জামিরুল ওরফে ওমর আলী, হাফিজুল শেখ এবং নাসিম শেখ। এরা প্রত্যেকেই নানুর থানার সাওতা গ্রামের বাসিন্দা। ধৃতদের বৃহস্পতিবার বোলপুরের এসিজেএম আদালতে তোলা হয় বলে জানা গেছে। 14 দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতের জন্য আবেদন করলে আদালত থেকে 12 দিনের হেফাজত মঞ্জুর করা হয়।

পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, নানুরের তৃণমূল নেতাকে খুনের পরিকল্পনার পেছনে বিরাট একটি চক্র কাজ করছিল। তারই সূত্র ধরে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরও কারা ওই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে তা জানতে পুলিশকে ধৃতেরা সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার সূত্রপাত গত 27 সেপ্টেম্বর। নানুরের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার কাজ শেখকে খুনের সুপারি নিয়ে বেশকিছু বাংলাদেশি দুষ্কৃতী শান্তিনিকেতনে এসে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলে পুলিশের কাছে খবর আসে। আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ পুলিশ চার বাংলাদেশী দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেই সূত্র ধরেই পুলিশ শান্তিনিকেতনের দুই যুবক সৈয়দ আনোয়ার আলী এবং শেখ কাজলের খোঁজ পায়। যাদের আসল বাড়ি নানুরের পাপুড়িতে বলে জানা যায়। বুধবারের পর এখনো পর্যন্ত তৃণমূল নেতা খুনের চক্রান্তে ধরা পড়ার সংখ্যা হল নয়জন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে আনোয়ার এবং কাজলের বয়ান থেকে জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা কাজ শেখ এর কারণে বেশ কিছু পরিবারকে ঘর ছাড়া থাকতে হচ্ছিল। তাই তাঁকে মেরে ফেলার চক্রান্ত হয়েছিল।

নানুর ব্লক থেকে হত্যার চক্রান্তে সামিল হওয়ায় আরো তিনজন পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। অন্যদিকে পুলিশের আরেকটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত আনোয়ার এবং কাজলের সঙ্গে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছে এলাকারই আর এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী যে বর্তমানে মেদিনীপুর কারাগারে বন্দি। অন্যদিকে ধৃত দুষ্কৃতীদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। দফায় দফায় ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে শুধুমাত্র তৃণমূল নেতাকে খুন এর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে এ রাজ্যে দুষ্কৃতীরা এসেছিল নাকি আরো বড় কোন চক্রান্ত কাজ করছে?

এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গী যোগাযোগ আছে কিনা, সেদিকে নজর রেখে তদন্ত চালাচ্ছে জেলা পুলিশ এবং এসটিএফ। অনুব্রত মণ্ডলের গড়ে অর্থাৎ বীরভূমে প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার খুনের চক্রান্ত ফাঁস হওয়ায় শুরু হয়েছে তৃণমূল শিবিরেই সমালোচনা। ঘটনার পেছনে যতজন দুষ্কৃতী ধরা পড়েছে, তাঁদের সাথে বিরোধীদলের যোগ আছে কিনা, সেদিকেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে শাসকদলের পক্ষ থেকে। প্রশ্ন উঠেছে, শাসকদলের নেতারা কি বর্তমানে আর সুরক্ষিত থাকছেন না? আপাতত এই ঘটনার জাল কতদূর ছড়ানো তাই এখন জানার চেষ্টা চলছে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!