এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > আমাদের আটকে না রেখে সাতদিন সময় দিন লাহোরে ঢুকে সব পাকিস্তানি সেনাদের মেরে আসব: ভারতীয় সেনাবাহিনী

আমাদের আটকে না রেখে সাতদিন সময় দিন লাহোরে ঢুকে সব পাকিস্তানি সেনাদের মেরে আসব: ভারতীয় সেনাবাহিনী

গত 14 ই ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনের পক্ষ থেকে এক নৃশংস হামলায় প্রাণ হারান দেশের প্রায় 40 জন জওয়ান। দেশের সেনাদের এই নৃশংস হত্যার পরই গর্জে ওঠে গোটা ভারতবর্ষ। মোমবাতি হাতে নিয়ে শোকমিছিল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি তোলা হয় যে, এর বিরুদ্ধে অবিলম্বে পাকিস্তানের প্রতি এবার বদলা নিতেই হবে ভারতকে।

আর পাল্টা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রায় প্রত্যেকের মুখেই শোনা যায় যে, তারা ভারতের সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন রকম বিবৃতি আসলেও কি বলছেন সেই নিহত সেনাদেরই সতীর্থরা?

সূত্রের খবর, এদিন জম্মু কাশ্মীর সীমান্ত থেকে ফেসবুক লাইভ করে এই ব্যাপারে এক ক্ষুব্ধ সেনা বলেন, “আমাদের কেন এভাবে আটকে রাখা হচ্ছে? আমাদের সাতদিন সময় দেওয়া হোক। ওদের ঘরে ঢুকে সমস্ত পাকিস্তানি সেনাদের মেরে আসব। ওদের জঙ্গিরা আমাদের 40 জনকে মেরেছে, আমরা এখনই ওদের ঘরে ঢুকে 400 জনকে মেরে আসতে পারি। কিন্তু এইভাবে আর কতদিন আমাদের আটকানো হবে!”

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই জওয়ানের ফেসবুক লাইভ দেখেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মনে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে তাহলে যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার জওয়ানদের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার কথা বলছেন, সেখানে এই ফেসবুক লাইভ করেই সীমান্তে এক জওয়ান কেন তাদের হাত বেঁধে রাখা হয়েছে এরূপ কথা বলছেন?

তাহলে কোথায় রয়েছে গলদ! তা বুঝে পাচ্ছেন না কেউই। একইভাবে মনোজ ঠাকুর নামে আর একজন জওয়ান এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেছেন, “আমরা পুলওয়ামাতে 40 জন সঙ্গীকে হারিয়েছি। দিনের পর দিন এটা হয়ে চলেছে। আমরা সমস্ত রকম বিদেশী শক্তির বিরুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত। কিন্তু দিল্লীতে বসে এটা নিয়েও সরকার রাজনীতি করছে। এর থেকে লজ্জাজনক আর কিছুই হতে পারে না। কতদিন আমাদের এসব সহ্য করতে হবে!”

এদিকে একধাপ এগিয়ে এদিন সেনাবাহিনীর উর্দি আজ থেকে তিনি ত্যাগ করলেন বলে ফেসবুক লাইভে আর এক জন জওয়ান বলেন, “আমি কেন এই উর্দি ছাড়ছি তার অনেক কারণ রয়েছে। দিল্লিতে গদিতে বসে এই উর্দির দাম যারা জানে না তারা সেই উর্দি পরিহিতদের উপর খবর চালায়। আমরা নিজের দক্ষতায় সেনা হিসেবে যোগদান করেছি। তাহলে কেন আমরা কারওর কথা মেনে চলব!”

অন্যদিকে এদিন একাংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতের জওয়ানদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করলে এদিন সেই প্রসঙ্গে সেই জওয়ান বলেন, “কেউ কেউ বলছে আমরা নাকি ধর্ষণ করি! আমরা নাকি মানবাধিকার লংঘন করি! আর জঙ্গিরা যখন সবকিছু লংঘন করে হত্যালীলা চালায় তখন ওই সব বুদ্ধিজীবিরা কোথায় যায়? আমাদের দিনের পর দিন এসব সহ্য করতে হয়। আর তাই আজ আমি এই উর্দি ছাড়তে বাধ্য হলাম।”

আর সেনাদের তরফ থেকে ফেসবুক লাইভ করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এইভাবে সোচ্চার হওয়ার ঘটনায় বিশেষজ্ঞদের একাংশের মনে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন দানা বেঁধেছে যে, তাহলে কি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুধুমাত্র আইওয়াশের জন্যই “সেনাদের হাতে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হল” সেই কথা বলে মানুষের আবেগকে জয় করার চেষ্টা করেছেন! প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!