এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার হোস্টেলেই মধুচক্র চালানোর অভিযোগ প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, জনতার চাপে আইনি ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষের

এবার হোস্টেলেই মধুচক্র চালানোর অভিযোগ প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, জনতার চাপে আইনি ব্যবস্থা কর্তৃপক্ষের

লোকসভা ভোটের মুখে ফের রাজ্যরাজনীতিতে শোরগোল ফেলে মধুচক্র চালানোর অভিযোগে নাম জড়লো এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার। হরিশ্চন্দ্রপুর কলেজ হোস্টেলেই গোপনে এই দুর্নীতিমূলক কর্মকাণ্ডের হদিশ পেয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা।

গতকাল দুপুর থেকেই বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা কলেজের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তা ও সামাজিক পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগ তুলে কলেজ গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। আমজনতার আন্দোলনের চাপে পড়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হয়।

হস্টেলের কেয়ারটেকার,নৈশপ্রহরী,আগে থেকেই অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতা এবং এক মহিলার নামে থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। গোটা ঘটনায় তৃণমূলের দাপুটে নেতার নাম যুক্ত হওয়ায় লোকসভা ভোটের আগে শাসকদল বাড়তি অস্বস্তি বাড়ল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ ব্যাপারে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ লিটন বিশ্বাসের বক্তব্য,কলেজ হস্টেলে যে অসামাজিক কাজ বহুদিন ধরে চলছে তার অভিযোগ করেছে প্রত্যক্ষদর্শীরাই। কাজেই সামাজিক সুস্থতা বজায় রাখতে হস্টেলের দু’জন কর্মী সহ আরো চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে হয়েছে।

কলেজের প্রশাসক তথা চাঁচলের মহকুমা শাসক সব্যসাচী রায় বলেন,এই অসামাজিক কর্মকাণ্ডের পুরো ঘটনার রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। গোটা পরিস্থিতিতেই কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। চাঁচলের মহকুমা পুলিস আধিকারিক সজলকান্তি বিশ্বাসের এ প্রসঙ্গে বক্তব্য,কথা অনুযায়ী নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রের খবর,হরিশ্চন্দ্রপুর কলেজ হোস্টেল ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে বেশ কিছু স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা সেখানে মধুচক্রের আসর বসাতে শুরু করেছিল। দিন দুয়েক আগে এক রাতে তৃণমূলের এক প্রভাবশালী নেতাকে আপত্তিকর অবস্থায় পাকরাও করে স্থানীয়রা। তারপর তাকে পুলিশের হাত সপে দেয়৷ কিন্তু পুলিশ প্রশাসন তাঁর বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিয়েই তাকে রেহাই দেয়। পুলিশের এই নিষ্ক্রিয় আচরণে ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে স্থানীয়দের মধ্যে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এরপর সোমবার সকালে জনরোষ দাবানলের মতো ছড়িয়ে যায়। স্থানীয়দের একাংশ,কলেজের তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এই বিক্ষোভের চাপে পড়ে হকচকিয়ে যায় কলেজ কর্তৃপক্ষ। তারপর তড়িঘড়ি করে করে জরুরি বৈঠক ডেকে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপরই পরিস্থিতি শান্ত হয়।

স্থানীয় সূত্রের দাবী,হোস্টেলের অভিযুক্ত দু’জন কর্মীও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সক্রিয় কর্মী। তবে এ অভিযোগ স্বীকার করতে নারাজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি প্রসূণ রায়৷ তাঁর বক্তব্য,শুধুমাত্র তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যে এভাবে দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

পাল্টা অভিযোগ তুলে তিনি বলেন,’উলটে আমাদের স্থানীয় নেতারাই অসামাজিক কাজ ধরে ফেলেছিল। আমরাই কলেজের উপরে এসব অসামাজিক কাজ প্রতিরোধের জন্যে চাপ তৈরি করেছিলাম। তারই জেরে চারজনের নামে অভিযোগ হয়েছে।’ ওদিকে আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারী দিয়ে জানিয়েছে এবারও যদি পুলিশ উপযুক্ত পদক্ষেপ না নেয় তাহলে আগামী আরো বড় বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামে তাঁরা। এই প্রেক্ষিতে জনতার চাপে পুলিশ প্রশাসন এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নেয় কিনা সেটাই দেখার!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!