এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অনুব্রত-গড়ে তৃণমূল কর্মী খুনে গ্রেপ্তার তৃণমূলেরই প্রভাবশালী নেতা, তীব্র অস্বস্তিতে শাসকদল

অনুব্রত-গড়ে তৃণমূল কর্মী খুনে গ্রেপ্তার তৃণমূলেরই প্রভাবশালী নেতা, তীব্র অস্বস্তিতে শাসকদল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যেকোনো রকম রাজনৈতিক হত্যা হলেই সাধারণত যে দলের কর্মী মারা যান, তাঁর বিরোধী দলের ওপর সাধারণত দোষারোপ করা হয়। বেশ কিছুদিন আগে অনুব্রত মণ্ডলের গড় হিসেবে পরিচিত বীরভূমের খয়রাশোলে খুন হন এক তৃণমূল কর্মী। যথারীতি অভিযোগ গিয়ে পড়ে বিজেপির ঘাড়ে। কিন্তু পুলিশি তদন্তে এবার আসল সত্যি উঠে এলো। খয়রাশোলের তৃণমূল কর্মী খুনের অভিযোগে তৃণমূলেরই অন্য এক প্রভাবশালী নেতা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন। আর এই নিয়ে শাসক দলের অন্দরে শুরু হয়েছে তীব্র অস্বস্তি। প্রায় চার মাস আগে খয়রাশোলের তৃণমূল কর্মী শিশির বাউরী নিহত হন।

সেই অভিযোগে এদিন পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন ব্লক কোর কমিটির সদস্য কিশোর মন্ডল নামে এক তৃণমূল নেতা। মঙ্গলবার ধৃত কিশোর মণ্ডলকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে চার দিনের পুলিশি হেফাজত দিয়েছে বলে জানা গেছে এপিপি রাজেন্দ্র প্রসাদ দে’র কথায়। এই খুনের ঘটনাটি ঘটে গত তেসরা জুলাই, খয়রাশোল থানা এলাকার রানীপাথর গ্রামে। ওইদিন নিহত হন শিশির বাউড়ি নামে এক তৃণমূল কর্মী। তাঁর বাড়ি এলাকার আমতলা গ্রামে। সূত্রের খবর, ওইদিন রাতে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। পরদিন ভোরে কয়েকশ মিটার দূরে রানীপাথর এলাকা থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তৃণমূলের নেতারা অবশ্য প্রথম থেকেই দলীয় কর্মী খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত করছিলেন বিরোধীদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু পুলিশের কাছে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকেও তৃণমূলেরই বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। শিশির বাউরীর স্ত্রী তাঁর স্বামীকে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত করেন শাসকদলের তৎকালীন পাঁচড়া অঞ্চল সভাপতি, বর্তমানে ব্লক কোর কমিটির সদস্য কিশোর মণ্ডল-সহ আরও ছয় জনকে। এই ঘটনায় চারজন আগেই ধরা পড়েছিলেন পুলিশের হাতে। সোমবার দলের অন্যতম পান্ডা কিশোর মন্ডল ধরা পরল। যদিও আদালতে কিশোর মন্ডল নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন এবং তিনি বিজেপি চক্রান্তের শিকার হয়েছেন বলে জানান। একইভাবে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক বিকাশ রায় চৌধুরীও এই ঘটনার পেছনে বিজেপির চক্রান্তের কথা বলেন।

তবে পুলিশি তদন্তই শেষ কথা বলবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে তৃণমূলের এই দাবি সম্পূর্ণভাবে নস্যাৎ করা হয়েছে। তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় তৃণমূল নেতার ধরা পড়ার ঘটনায় আরো একবার প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যথারীতি এই ঘটনায় বিরোধীদের কটাক্ষ হজম করতে হচ্ছে শাসক দলকে। অন্যদিকে দলের অন্দরেই যেভাবে খুনোখুনি হচ্ছে তাতে কিন্তু দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন উঠছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনা যে তৃণমূল শিবিরকে অস্বস্তির মুখে ফেলেছে সে কথা অনস্বীকার্য।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!