এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > বীরভূমের উন্নয়নে অনুব্রত মন্ডলই শেষ কথা আবার বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বীরভূমের উন্নয়নে অনুব্রত মন্ডলই শেষ কথা আবার বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


এদিন বীরভূমের প্রশসানিক বৈঠকে মমতা-অনুব্রতের স্নেহের সম্পর্ক ফের প্রকাশ্যে এল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির ‘দিদি-ভাই’-এর সম্পর্কের কথা অজানা নেই রাজনীতিসচেতন মানুষের। প্রিয় ভাই কেষ্ট (অনুব্রত মন্ডল)-র দাবীদাওয়া সবসময়ই পূরণ করে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যে নানান মন্তব্যে বিতর্কে জড়িয়েছেন অনুব্রত মন্ডল। সেসময় দিদির মতো ঢাল হয়ে অনুব্রতকে আগলে রেখেছেন নেত্রী।

কখনো বুঝিয়েছেন,কখনো আবার দলীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ধমকও দিয়েছেন অনুব্রত বাবুকে। কিন্তু তাতে কখনো মমতা-বিদ্বেষী হতে দেখা যায় নি বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। দলনেত্রীর নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতেই বদ্ধপরিকর তিনি। এমনটাই প্রকাশ্যে কিংবা কাজের মাধ্যমে বুঝিয়ে এসেছেন তিনি দফায় দফায়।

নতুন ইংরাজি বছর শুরু হতেই বীরভূম সফরে গেলেন নেত্রী প্রশাসনিক কাজকর্মের হালহাকিকত জানতে। বোলপুরে গীতাঞ্জলী প্রেক্ষাগৃহে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী আবারও বুঝিয়ে দিলেন,বীরভূমের উন্নয়নে আজও অনুব্রত মন্ডলই শেষ কথা।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন সভায় প্রথম থেকেই নিজস্ব কড়া মেজাজেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফসলবিমার প্রসঙ্গ তুলে বিজেপি সরকারকে তোপ দাগার পাশাপাশি রাজ্যসরকার যে কৃষকদের স্বার্থরক্ষায় সবসময় পাশে রয়েছে সেটাও বুঝিয়ে দেন তিনি। পাশাপাশি কৃষকদের জন্যে সেচদপ্তর থেকে কী কী করা হয়েছে তা সবিস্তারে আধিকারিকদের জানাতে বলেন। তারপর ময়ূরাক্ষী ক্যানেল সংস্কার নিয়ে জেলার বেশ কয়েকটি ব্লকের চাষীদের ব্যাপক উন্নয়নের কথা যখন আধিকারিকরা তুলে ধরেন তখন জেলার অন্যান্য নদীগুলোও সংস্কারের দাবী তোলেন অনুব্রত বাবু।

এতে মুখ্যমন্ত্রী আপত্তি জানিয়ে বলেন,অতো টাকা এখন বীরভূমকে দেওয়া সম্ভব নয়। এরপর রাজ্যের সরকারি প্রকল্পের বিভিন্ন খাতে প্রশাসনের ব্যাপক পরিমান খরচের প্রসঙ্গ তুলে অনুব্রত বাবুকে বসিয়ে দেন মমতা। প্রথম দফায় তেমন সুবিধা করতে না পারলেও হাল ছাড়েন না তিনি। জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তাঘাটের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা শুরু হলে বেশ কয়েকটা রাস্তা তৈরির দাবী জানান অনুব্রত৷ প্রিয় ভাইয়ের প্রথম দাবী না মানলেও দ্বিতীয় আবদারটা ফেলতে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রী।

নতুন রাস্তা তৈরির ব্যাপারটি সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের দেখে নেওয়ার নির্দেশ দেন। এরপরই প্রকাশ্যপ আসে নলহাটি থেকে মোড়গ্রাম পর্যন্ত জাতীয় সড়কের বেহাল অবস্থার কথা। এ প্রসঙ্গেও অনুব্রত বাবু জেলার উন্নয়নের স্বার্থে নিজস্ব মতামত দেন। প্রতিক্রিয়ায় রাজ্যের আর্থিক অবস্থার বিষয়ে চিন্তা ব্যক্ত করে মুখ্যমন্ত্রী জানান,’অনেক দিয়েছি,এর বেশি কিছু দিতে পারবো না।’

এরপর নাছোড়বান্দা ভাই দিদির কাছে তারাপীঠের অদূরে দ্বারকা নদের উপর দু’টি চেক ড্যাম করে দেওয়ার জন্য আবদার শুরু করেন। প্রথমে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি ব্যক্ত করলেও পরে ভাইয়ের আবদার রক্ষা করেন দিদি। সচিবকে নির্দেশ দেন বিষয়টি দেখে নেওয়ার জন্যে।

শুধু জেলার উন্নয়নের মধ্যেই সীমিত ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনুব্রত মন্ডলের আবদার। জেলা সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য এদিন তিনি তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। জানান,জেলায় লরি খালাসিদের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে৷ যার জেরে পথ দুর্ঘটনার পরিমান দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে। ভাইয়ের নালিশ শুনে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের চেপে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী।

সভাশেষে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের একাংশ অনুব্রত মন্ডলকে বলেন,’আপনিই তো জেলার মুখ্যমন্ত্রী। আপনি আব্দার করবেন না তো, কে করবে!’ তখনই বিনয়ের সুর টেনে অনুব্রত জবাব দেন,উন্নয়নের অপর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে বীরভূমে যা কিছু উন্নয়ন হয়েছে সবের মূলে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!