এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূল যাই দাবি করুক ২২ আসনের লক্ষ্য থেকে একচুলও সরতে রাজি নয় বিজেপি, বুঝিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ

তৃণমূল যাই দাবি করুক ২২ আসনের লক্ষ্য থেকে একচুলও সরতে রাজি নয় বিজেপি, বুঝিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ

১৯’এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ২২ টি আসন জয়ের লক্ষমাত্রায় পৌছাবে বিজেপি। পূরণ হবে অমিত শাহের স্বপ্ন। জামালপুরের জৌগ্রামে বিজেপি আয়োজিত একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই দাবী করলেন রাজ্যের পদ্মবাহিনীর সেনাপতি দিলীপ ঘোষ। শাসকদলকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বললেন,লোকসভা ভোটে এ রাজ্যের মাটি থেকে ২২ টি আসনই দখল করবে বিজেপি।

জাতীয় বিজেপি সভাপতি বাংলার বুকে দাঁড়িয়ে যে লক্ষ্যমাত্রার কথা বলে গিয়েছিলেন,বঙ্গবিজেপি তা করে দেখাবে। পুলিশ গুন্ডা দিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের মতো লোকসভা নির্বাচনে নিজের মর্জি খাটাতে পারবে না তৃণমূল। কারণ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাবাহিনী আওতাতে আইনশৃঙ্খলা মেনেই লোকসভা নির্বাচন হবে। বিজেপি তার লক্ষ্যে পৌছাবেই৷ তৃণমূল পারলে আটকে দেখাক।

এদিনের সভায় দিলীপ ঘোষের পাশাপাশি একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দলের নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী সহ আরো অনেক দলীয় হেভিওয়েট ব্যক্তিত্বরা।এদিন মঞ্চ থেকে রাজ্যসরকারের কৃষকবন্ধু প্রকল্পকে কটাক্ষ করে বলেন,’চাষি মারা গেলে দু’লক্ষ, আর মদ খেয়ে মাতাল মারা গেলে ক্ষতিপূরণ দু’লক্ষ টাকা। একেবারে ফ্ল্যাট রেট। দু’লাখের দেশি দর আর উঠছে না।’

পাশাপাশি ঝাড়গ্রামে খাদ্যাভাবে শবর সম্প্রদায়ের আটজন মানুষের মৃত্যুর প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যসরকারকে তুলোধনা করেন রাজ্যবিজেপি সভাপতি। বলেন,রাজ্যে না খেতে পেয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। উপজাতি সম্প্রদায় রাজ্যসরকারের বঞ্চনার শিকার হচ্ছে অথচ মুখ্যমন্ত্রী রটিয়ে বেরিয়েছেন মদ খেয়ে তাঁরা মারা গিয়েছেন। তৃণমূল জামানায় যে হারে মদের ভাটি বেড়েছে,তোলাবাজি থেকে সিন্ডিকেট রাজ চলছে তা এ রাজ্যে আগে কখনো দেখা যায়নি বলেই দাবীতে জানান দিলীপ বাবু।

এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের আবাস যোজনায় বেআইনিভাবে টাকা তুলে নেওয়া,বাড়ি বাড়ি শৌচালয় তৈরির জন্যে রাজ্যসরকারের বরাদ্দ টাকা না দেওয়া সহ একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান তিনি। রাজ্যে বর্তমানে যে হারে বালি এবং পাথর মাফিয়াদের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে সে প্রসঙ্গ তুলেও শাসকদলকে বিঁধতে ছাড়েন না তিনি।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়া তৃণমূল জামানায় রাজ্যের চাষীরা যে কীভাবে বঞ্চিত হচ্ছে সেটাও সবিস্তারে তুলে ধরেন তিনি। বলেন,’ রাজ্যের আলুচাষিরা দাম পাচ্ছেন না। একটা সময় দেখেছি, রাস্তার ধারে আলুবস্তা রেখে ১০টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এবারও সেরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কৃষককে মেরে ফেলা হচ্ছে। চাষিরা সহায়ক মূল্য বাবদ পুরো টাকা পাচ্ছেন না। তাই দিদি একরপিছু পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে চাষির ক্ষোভ মেটাতে চাইছেন।’

এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা বিতরণ করতেও বেশ অনিয়ম করেছে রাজ্যসরকার,এমনটা জানান তিনি। বলেন,কৃষিজমি না থাকা সত্ত্বেও অনেক তৃণমূলকর্মী-সমর্থকদের অ্যাকাউন্টে সরকারি টাকা ঢুকেছে। মজুরি বাবদ টাকা ভাগাভাগি করা হয়েছে। এছাড়া জামালপুরে দামোদর নদ থেকে বালি বেআইনিভাবে সরানো হচ্ছে। ভূমি দপ্তরের অফিসার বালিলুটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক তাঁকে হুমকি ধমকি দিয়েছেন। সর্বত্র লুটপাট চলছে এ রাজ্যে। এমনটাই জানান রাজ্য বিজেপি সভাপতি। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে রাজ্যে যে কীভাবে দুর্নীতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সেটাই তুলে ধরতে চাইলেন তিনি।

তৃণমূলকে তুলোধনা করতে গিয়ে প্রসঙ্গে বিগত বামফ্রন্ট সরকারকেও একহাত দিয়ে দিলেন তিনি। বললেন,’এ রাজ্যে সিপিএম যা করত এখন তৃণমূল কংগ্রেসও তাই করছে। অন্য পার্টিকে কাজকর্ম করতে দিচ্ছে না।’ লোকসভায় উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে কোনো বিল পাল করতে গেলেই সবসময় তৃণমূল, সিপিএম,কংগ্রেস জোট বেঁধে আপত্তি তোলে। অথচ এরাই আবার এনআরসির বিরোধীতা করে উদ্বাস্তুদের নিয়ে রাজনীতি করেছে। তাঁদের নাগরিকত্ব দানের স্বপক্ষে সওয়াল তুলেছে।

অথচ কার্যক্ষেত্রে অন্য রূপ দেখিয়েছিল। বিরোধী দলগুলোর এইধরণের দ্বিচারী আচরণের বিপক্ষে সওয়াল তোলেন তিনি। প্রসঙ্গত, এদিন জামালপুরের জনসভায় নিজস্ব মেজাজেই দেখা গেল দিলীপ ঘোষকে। দিনদুয়েক আগে শাসকদলের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষায় মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেও এদিন ফের তাকে শাসকদলের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্নক ভূমিকায় দেখা গেল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!