এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অর্থের অভাবে থমকে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে শিলান্যাস করা একের পর এক প্রকল্প, প্রমাদ গুনছে নবান্ন

অর্থের অভাবে থমকে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে শিলান্যাস করা একের পর এক প্রকল্প, প্রমাদ গুনছে নবান্ন


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অর্থের অভাবে থমকে রাজ্যের একের পর এক প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রী শিলান্যাস করে ছিলেন এমন একাধিক প্রকল্প অর্থের অভাবে থমকে রয়েছে। ইতিপূর্বে প্রকল্পে গতি আনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকল্পের যেদিন শিলান্যাস করতেন, সেদিনই উদ্বোধনের আনুমানিক দিনক্ষণ জানিয়ে দিতেন। তৃণমূল সরকারের প্রথম দিকে এই কৌশল সাফল্য এনেছিল। কিন্তু সম্প্রতি অর্থাভাবের কারণে রয়েছে রাজ্যের একাধিক প্রকল্প থমকে। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে শিলান্যাস করা বেশ কিছু প্রকল্প অর্থের অভাবে এগোতে পারছে না।

কেন্দ্রের কাছে দিনে দিনে দিন বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গের ঋণ। কিন্তু ঋণ নিয়েও প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করা যাচ্ছে না। এ কারণে একাধিক প্রকল্প মুখ থুবরে পড়েছে। অবস্থা বেগতিক দেখে কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, নতুন করে আর কোন প্রকল্পের অনুমোদন না করতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে, সম্প্রতি কলকাতায় পুর ভোটের প্রচারে নেমে একাধিক অসমাপ্ত প্রকল্পের উল্লেখ করতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলকে। এই প্রকল্পগুলিকে তৃণমূলের সাফল্য তথা তৃণমূলের কাজের খতিয়ান হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে অর্থের অভাবে প্রকল্পগুলি অনেকদিন ধরেই থমকে আছে।

সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাংকের কাছ থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। জানা যাচ্ছে, চলতি মাসের শেষেই আরো দু হাজার কোটি টাকা ঋণ নিতে পারে রাজ্য। এই অর্থে রাস্তাঘাট, সেতু, উড়ালপুল, স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ ও মেরামত হতে পারে। আবার, রাজস্ব, সরকারি অনুদান বাবদ যে অর্থ রাজ্য পাচ্ছে, তার সিংহভাগ পরিকল্পনা বহির্ভূত একাধিক খাতে খরচ হয়ে যাচ্ছে।

যার ফলে পরিকল্পনা খাতে অর্থের অভাব তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে লক্ষীর ভান্ডার, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের খরচ যোগাতে গিয়ে টান পড়েছে অর্থভাণ্ডারে। রাজ্যের অর্থ দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এগুলোও সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ। কিন্তু কথায় চিড়ে ভিজছে না। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেনা খুব দ্রুত ৫ লক্ষ কোটিতে পৌঁছে যাবে বলে, জানা যাচ্ছে। ঋণ যত বাড়বে, তত তার আসল, সুদ পরিশোধ করতে গিয়ে অর্থভাণ্ডারে যে টান আরও পড়বে, তা বলাই বাহুল্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!