এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > আসানসোলে জুড়ে দাপিয়ে ভোট করিয়েছেন কর্মীরা, জয় নিয়ে আশায় তৃণমূল, পাল্টা দিচ্ছে বিজেপি

আসানসোলে জুড়ে দাপিয়ে ভোট করিয়েছেন কর্মীরা, জয় নিয়ে আশায় তৃণমূল, পাল্টা দিচ্ছে বিজেপি

গত 2014 সালের লোকসভা নির্বাচনে সারা রাজ্যে তৃণমূল তাদের দাপট অব্যাহত রাখলেও এই আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রটি দখল করে নিয়েছিল বিজেপি। তবে 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে সেই আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র যাতে বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া যায় তার জন্য এখানে বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে তৃণমূলের তরফে প্রার্থী করা হয়েছিল বিশিষ্ট অভিনেত্রী মুনমুন সেনকে।

ইতিমধ্যেই গত 29 এপ্রিল এই আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। তবে নির্বাচন শেষে এবার এই কেন্দ্র দখল করার ক্ষেত্রে কোন দলের অ্যাডভান্টেজ রয়েছে তার নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে জোর জল্পনা। শাসক দলের দাবি, এবারে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে তারাই জয়লাভ করবে।

অন্যদিকে ভোটের দিন কিছু কিছু বুথে শাসক দলের প্ররোচনায় সন্ত্রাস হয়েছে বলে দাবি করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির তরফে আসানসোলের বারাবনি এবং পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রায় 88 টি বুথে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে সিপিএমের পক্ষ থেকে পাণ্ডবেশ্বর, জামুড়িয়া, রানীগঞ্জ এবং আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের 86 টি বুথে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, যে সমস্ত বুথে তারা পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে, সেই সমস্ত বুথে শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরা ছাপ্পা দিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে শাসকদলের তরফে অবশ্য এই সমস্ত কথাকে অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের যুক্তি, আসলে বিরোধীদের লোকজন নেই। এজেন্ট দিতে পারেনি। তাই হেরে যাওয়ার ভয়ে আগেই ওরা এই ধরনের অভিযোগ করতে শুরু করেছে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, যে দল যে দাবিই করুক না কেন আসানসোলের পাণ্ডবেশ্বর, বারাবনির মত বেশ কিছু এলাকায় ভোটের দিন যত বেলা বেড়েছে, ততই অন্য চেহারা নিয়েছে। কুলটিতে মেরুকরণে নিরিখে ভোট হয়েছে বলে অভিযোগ করতে শুরু করেছে শাসক দল। তবে জামুড়িয়া এবং রানীগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় সিপিএমের দাপট থাকলেও এবারে এখানকার সিপিএম নেতা তাপস কবি নির্বাচনের আগে যেভাবে সমস্ত ভোট বিজেপিতে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, তাতে এখানকার ভোটগুলো যদি বিজেপিতে চলে যায় তাহলে শাসক দলের পক্ষে তা অত্যন্ত অস্বস্তির হতে পারে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

এদিন এই প্রসঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলা বিজেপির সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুই বলেন, “তৃণমূল 88 টি বুথে ছাপ্পা দিলেও আমরা এবার এখান থেকে জিতব।” অন্যদিকে সিপিএম নেতা গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ভোটের দিন বহু জায়গায় আমাদের এজেন্টদেরকে বুথ থেকে মেরে বের করে দেওয়া হয়েছে। আমরা 86 টি বুথে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছি।”

তবে এই ব্যাপারে আসানসোলের মেয়র তথা তৃণমূল নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, “আমরা এবারের জয়ের ব্যাপারে 100 শতাংশ নিশ্চিত।” একই কথা বলেছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি ভি শিবদাসন দাসুও। সব মিলিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দাবি পাল্টা দাবির মধ্যেও এবার শেষ কথা যে ভোটবাক্সই বলবে, তা ভেবে সেই 23 শে মের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে সমগ্র রাজনৈতিক দলগুলোকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!