এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিধানসভা ধরে ধরে ইস্যু সাজিয়ে এখন থেকেই একুশের মহাযুদ্ধের ঘুঁটি সাজিয়ে ফেলল গেরুয়া শিবির

বিধানসভা ধরে ধরে ইস্যু সাজিয়ে এখন থেকেই একুশের মহাযুদ্ধের ঘুঁটি সাজিয়ে ফেলল গেরুয়া শিবির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –গত লোকসভায় উত্তরবঙ্গে বিজেপি অত্যন্ত ভালো ফলাফল করেছিল। কিন্তু তারপর থেকেই উত্তরবঙ্গের কোচবিহার থেকে শুরু করে বালুরঘাট বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া চালানো হয়। সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপির টার্গেট, লোকসভার মত বিধানসভাতে কোচবিহারে ভালো ফলাফল করার। আর তাই এবার কোচবিহার জেলার প্রায় 50 টি স্থানীয় ইস্যুকে একত্রিত করে দিল্লিতে গিয়ে দলের সাংগঠনিক নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট জমা দিল জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।

জানা গেছে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে বিজেপি কোচবিহারে ভালো ফল করতে উদ্যোগ নিয়েছে। অর্থাৎ কেন্দ্রের কাছে স্থানীয় এলাকার ইস্যু জমা দিয়ে কিভাবে আন্দোলন তৈরি করে তৃণমূলের ঘুম ওড়াতে হবে, এখন সেই ব্যাপারে রণনীতি তৈরি করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লোকসভায় বিজেপি ভালো ফলাফল করার পর বিভিন্ন জায়গায় তাদের গোষ্ঠী কোন্দল তাদের অসুবিধার প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে সংগঠনকে গুছিয়ে নেওয়ার জন্য এবার ইস্যু তৈরি করে লড়াই, আন্দোলনে জোর দেওয়ার চেষ্টা করল গেরুয়া শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতি রাভা রায় বলেন, “আমরা সম্প্রতি দিল্লিতে সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলাম। সেখানেই দলীয় সাংগঠনিক নেতৃত্বের হাতে জেলার বেশ কয়েকটি রিপোর্ট জমা দিয়েছি। কোনো বিধানসভা কেন্দ্রে তামাম চাষীদের সমস্যা, কোথাও শিল্পের সমস্যা রয়েছে। আমরা বিধানসভা নির্বাচনে এগুলোকে হাতিয়ার করব। আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ের পর আমরা বিধানসভা ধরে আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করে আলোচনায় বসব।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোচবিহার জেলায় মোট আটটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু একটি বিধানসভা কেন্দ্রের সঙ্গে অন্য বিধানসভা কেন্দ্রের ইস্যুগত পার্থক্য রয়েছে। তাই প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য ইস্যু তৈরি করে সেখানকার মানুষের মন জয় করতে এবং তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতেই জেলা বিজেপি নেতৃত্বের এই পদক্ষেপ। এখন পদ্ম শিবির ইস্যু ধরে ধরে প্রত্যেকটি বিধানসভায় পদ্ম ফোটাতে কতটা সক্ষম হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!