এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > একাধিক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে সুসম্পর্ক – অভিযানে গিয়ে বালি ‘মাফিয়ার’ হাতে আক্রান্ত আধিকারিকরা

একাধিক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে সুসম্পর্ক – অভিযানে গিয়ে বালি ‘মাফিয়ার’ হাতে আক্রান্ত আধিকারিকরা

এদিন বালি মাফিয়া অভিযানে গিয়েই বিপাকে পড়লেন ভূমি দপ্তরের অফিসার ও কর্মীরা। পূর্বস্থলী-২ ব্লকের কালেখাঁতলা বাজারে বেআইনভাবে বালি পরিবহনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে গিয়ে হামলার শিকার হন তাঁরা। তৎক্ষণাৎ থানায় এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করলে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সৌমি নন্দী। বিষয়টি জানানো হয় মহাকুমা শাসক ও মহাকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে। এরপর জেলাশাসক ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পাকরাও করেন বালিমাফিয়া বরুণকান্তি ঘোষ ওরফপ বাপনকে। বিপদ বুঝে তাঁর দলবলেরা পালিয়ে যায়। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

স্থানীয়দের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, একাধিক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় বাপনের বিরুদ্ধে কেউ কিছু করতে পারে না। নির্দ্বিধায় বালির কারচুপি করে যাচ্ছে সে। এবং ইদানীং তার বালির অবৈধ ব্যবসা ক্রমশই বেড়ে যাচ্ছিল। অজয় নদের ঘাট থেকে বালি তুলে এসটিকেকে রোড ধরে বাপনের লরি চলে যেত নদীয়াতে। ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরা তার থেকে কোনোরকম চালান কাটার সাহসও পেতো না। একসময়ে লোকের গাড়ি চালাতো যে,সেই বাপন বেআইনি বালির ব্যবসায় নেমে অতি অল্প সময়ে ছটি লরির মালিক হয়ে যায়। ভিআইপির মতো জীবন কাটাতে থাকে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কিন্তু এদিন তাঁর সব সুখে ইতি পড়ে গেল। ঘটনার দিন বাপনের একটি বালি বোঝাই লড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। সেসময় ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরা গাড়ির ছবি তুলতে গিয়ে ব্যাপক চটে যায় বাপনের সঙ্গীসাথীরা। এমনকি ভূমি দপ্তরের কর্মকর্তাদের বাপনের হামলার শিকার হতে হয়। পরিস্থিতি বিরূপ দেখে আক্রান্ত কর্মীরা বিএলঅ্যান্তএলআরও কে জানান। যোগাযোগ করেন উপরিমহলের আধিকারিকদের সঙ্গে। তাঁরাই তৎপরতার সঙ্গে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে। তারপর মূল অভিযুক্ত বাপনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভি্যানে রেভিনিউ ইন্সপেক্টর, রেভিনিউ অফিসার, দু’জন আমিন এবং কয়েকজন গ্রুপ-ডি কর্মী উপস্থিত ছিলেন। আচমকা হামলার ঘটনার জেরে তাঁরা হতভম্ব হয়ে পড়েন। ধৃতকে গতকাল কালনা আদালতে তোলো হলে পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিলেন বিচারক। আপাতত লকআপে আছেন বাপন। তাকে কড়া জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তাঁর সূত্র ধরেই পুলিশ বাকি অভিযুক্তদেরও অবিলম্বে পাকরাও করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!