বাঁধ ভেঙে পড়া নিয়ে নবান্নের বৈঠকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ মমতার, একইসাথে তুললেন একগুচ্ছ প্রশ্ন রাজ্য হাওড়া-হুগলি June 2, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বাংলার উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলির উপর রীতিমত তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র দীঘা, শঙ্করপুর কার্যত তছনছ হয়ে গিয়েছে। একের পর এক বাঁধ ভেঙে গ্রাম ভেসে গেছে। আর তারপরেই প্রশ্ন উঠেছে, আমফান ঝড়ের পর যে বাঁধ সারানো হল, সেই বাঁধ এক বছরের মধ্যে কিভাবে ভেঙে পড়ল? পাশাপাশি এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। তৃণমূল শিবিরের পক্ষ থেকে অনেকেই এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন পূর্বতন সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন নবান্নে সেচ দপ্তরের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন এবং সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী একের পর এক প্রশ্ন তুলতে থাকেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন দাবি করেন, “প্রতি বছর বাঁধ সারাচ্ছি, প্রতিবছরই ভেঙে যাচ্ছে। এত টাকা দিয়ে যদি আমি জল বেঁধে দিই, তাহলে জল আমায় বেঁধে দেবে।” খুব স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যাচ্ছে বাঁধ ভেঙে যাওয়া নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী সেচ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তবে তিনি কাজ না হবার জন্য টিম লিডারকে দায়ী করেছেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আম্ফান ঝড়ে পড়ে যাওয়া গাছ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি গাছের হিসেবের খোঁজ করেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, পড়ে যাওয়া গাছ কখনো বনদপ্তর নিয়ে যাচ্ছে, কখনও কর্পোরেশন নিয়ে যাচ্ছে যার কোন হিসাব পাওয়া যাচ্ছেনা। এবং এ ব্যাপারটি দেখার জন্য তিনি বর্তমান মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর ওপর দায়িত্ব দিয়েছেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী দীঘা নিয়েও সরব হয়েছেন। তিনি বৈঠকে উপস্থিত থাকা সেচ দপ্তরের অফিসারদের রীতিমতো খাতায়-কলমে এঁকে বুঝিয়ে দেন ঝড়ের পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী পরিস্থিতি দীঘা, শঙ্করপুর এলাকার। দীঘার সমুদ্র সৈকতের হকারদের ক্ষতিপূরণের জন্য দীঘা উন্নয়ন পর্ষদকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি সমুদ্রের সীমানায় ঢুকে পড়া নিয়েও যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বাঁধ ভেঙে পড়া নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন তদন্ত হবার কথা। এবং সেক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে যে টানাটানি হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যে সব বাঁধ ভেঙে পড়েছে, সেগুলিকে নতুন করে তৈরি করা নিয়েও একের পর এক পরিকল্পনা চলছে। আপাতত পুরনো সবকিছুকে নতুন করে ফিরিয়ে আনাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ রাজ্য সরকারের কাছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের অনেকেই। আপনার মতামত জানান -