এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আর কয়েক মাস বাদেই ভোট! এখনও বাংলায় ‘মুখ’ ঠিক করতে না পেরে ক্রমশ কি ব্যাকফুটে যাচ্ছে বিজেপি?

আর কয়েক মাস বাদেই ভোট! এখনও বাংলায় ‘মুখ’ ঠিক করতে না পেরে ক্রমশ কি ব্যাকফুটে যাচ্ছে বিজেপি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বাংলায় মুখ কে হবে, এই প্রশ্ন দীর্ঘদিনের। ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে প্রচারে ঝড় তোলার জন্য নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে মুকুল রায় থেকে শুরু করে দিলীপ ঘোষ, এমনকি বিশিষ্টজনের নাম নিয়ে জল্পনা শুরু হলেও, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বাংলায় মুখ যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই হতে চলেছে, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেল। একাংশ বলছেন, কিভাবে বাংলায় জয় আনতে হবে, তার সমস্ত রণনীতি তৈরি করছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেদিক থেকে বাংলার নেতারা তেমন গ্রহণযোগ্য জায়গায় নেই।

অন্যদিকে সাম্প্রতিককালে বিজেপির পক্ষ থেকে নবান্ন অভিযান করা হয়েছিল। যেখানে বাংলার নেতারাই প্রধান ভাবে নেতৃত্ব দেবেন বলে মনে করেছিল একাংশ। কিন্তু সেই জায়গাতেও বিজেপির সর্বভারতীয় যুব সভাপতি তেজস্বী সূর্যকে নিয়ে আসা হয়েছিল। অর্থাৎ এই সমস্ত কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারকে সরাতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ওপর সবথেকে বেশি ভরসা রাখতে হচ্ছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বকে। তাহলে কি বাংলায় বিজেপির গ্রহণযোগ্য মুখ নেই! তাই কেন্দ্রের বিজেপি নেতারা বাংলা তৃণমূল সরকারের ঘুম ওড়াতে বারবার বঙ্গ সফর করছেন?

বস্তুত, বাংলার ক্ষমতা দখলের ব্যাপারে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের ওপর খুব একটা ভরসা করতে পারছে না বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অনেকে বলছেন, দলের সদর দপ্তর থেকে দিলীপ ঘোষ একটি মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে তার পাশে আর কোনো গ্রহণযোগ্য মুখকে দেখা যায়নি। অন্যদিকে বিজেপির দীর্ঘদিনের সৈনিক রাহুল সিনহাকে নবান্ন অভিযান কর্মসূচিতে দেখতে পাওয়া যায়নি।

স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপির একটা বৃহত্তর অংশ এই কর্মসূচিতে অনুপস্থিত থাকায় ভারতীয় জনতা পার্টির ঐক্যবদ্ধ রূপ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের অন্তর্কলহ মেটাতে এবং বাংলায় তৃণমূল সরকারের ঘুম উড়িয়ে দিতে যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকেই যে ময়দানে নামতে হবে, তা কার্যত পরিষ্কার হয়ে গেছে। আর তাই বাংলার নেতাদের ওপরে আর বেশি ভরষা রাখছে না বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বলে মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই আগামী মহাষষ্ঠীর দিন ভার্চুয়ালের মাধ্যমে বাংলার মানুষকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধু তাই নয়, ভার্চুয়াল সিস্টেমের মাধ্যমে বাংলার একটি দুর্গাপুজো উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তার। স্বাভাবিক ভাবেই প্রধানমন্ত্রীর এইভাবে ময়দানে নামা দেখেই কার্যত পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে যে, বাংলায় এবার বিজেপির হয়ে ঝড় তুলতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সরাসরি ময়দানে নামতে চলেছে। ইতিমধ্যেই বাংলাকে নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বৈঠকে অমিত শাহ পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি এবার সরাসরি বাংলা দেখবেন।

আর তার এই বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে, বাংলার নেতাদের পারফরম্যান্সে অমিত শাহ খুব একটা খুশি নন। তাই তিনি নির্বাচনের আগে সংগঠনকে মজবুত করতে সরাসরি বাংলা দেখার কথা বললেন। তবে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে যে সমস্ত দল বাংলায় ক্ষমতা দখল করেছিল, তারা অনেক ক্ষেত্রেই দিল্লির নেতৃত্বের নির্দেশ শেষ পর্যন্ত মানেননি। এক্ষেত্রে বাংলা দখলের জন্য দিল্লি ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে দিলেও, যদি বিজেপি ক্ষমতা দখল করে, তাহলে বঙ্গ বিজেপির নেতারা দিল্লির নির্ভরতা আদৌ মেনে নেবেন কি না, তা নিয়ে বড় মাপের সংশয় তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তৃণমূলকে কতটা কুপোকাত করতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!