এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > একুশের ভোটে বাংলায় বিজেপির মুখ কে? স্পষ্ট করলেন অমিত শাহ

একুশের ভোটে বাংলায় বিজেপির মুখ কে? স্পষ্ট করলেন অমিত শাহ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলায় তৃণমূলের কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে বড় ভরসা সে কথা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে একুশের ভোটে বাংলায় বিজেপি তৃণমূলের দ্বৈরথে এই রাজনৈতিক দলের মুখ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি এতদিনে। যেখানে বিজেপি আলাদা করে বাংলায় কোনো রাজনৈতিক মুখ দেখাতে পারেনি, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মুখ, সেই কথাকে হাতিয়ার করে প্রচারে অনেকটাই এগিয়ে যেতে দেখা গেছিল তৃণমূলকে।

এরই মধ্যে বেশ কিছুদিন আগে নুসরত জাহান প্রধানমন্ত্রীর দূরবীনে চোখ রাখা একটি ছবি টুইট করে বিদ্রুপ করেছিলেন যে, বিজেপির কাছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপক্ষে কোনো রাজনৈতিক মুখ খুঁজে পাওয়া এতটাই কষ্টসাধ্য। তবে বঙ্গ সফরে এসে কি বার্তা শোনালেন অমিত শাহ? আদপে একুশের ভোটের আগে বাংলার বিজেপি রাজনৈতিক মুখ কি স্পষ্ট হয়ে গেল?

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি ৩ দিনের বঙ্গ সফরে এসেছেন অমিত শাহ। আর কালকের বাঁকুড়ার মঞ্চ থেকে তৃণমূলের উদ্দেশ্যে একাধিক কটাক্ষ করেছেন তিনি। আর সেখানেই তাঁকে বিজেপির মুখ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, প্রয়োজন পড়লে ব্যক্তিও চলে আসবেন, মুখে চলে আসবে। শুধু তাই নয়, বাংলায় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা যে বিজেপি সরকার পাচ্ছে সেই আশ্বাস বাণীও দিয়েছেন তিনি।

আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই মন্তব্য অনেকের কাছে অর্থবহ হয়ে উঠেছে। বস্তুত যেকোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারের ক্ষেত্রে একটি ব্যক্তি থাকা রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে ইবিবেচনা করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে অমিত শাহ বলেন উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও এর আগে ১৪ সালে মহারাষ্ট্র হরিয়ানার মত এখাধিক নির্বাচনে বিজেপি কোন মুখ ছাড়াই ভোটে জিতেছিল এবং বিপুলভাবে সাফল্য লাভ করেছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে দেখতে গেলে রাজনৈতিকবিদদের মতে প্রতিটি রাজ্যের একটা আলাদা রাজনৈতিক গতিশীলতা থাকে। তাই সমস্ত রাজ্যের সঙ্গে বাংলার তুলনা করা চলে না বলেই মনে করেছেন তাঁরা। অন্যদিকে তৃণমূলের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের সমস্ত আসনে একক প্রার্থী সেই কথাই এতদিন বলে এসেছেন তিনি। অন্যদিকে তাঁর দলের একাংশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও তাঁকে অকপটে বলতে শোনা গেছে তাদের চোর বদনাম না দিতে।

এমনকি দরকার হলে বাড়ি গিয়ে বাসন পর্যন্ত মেজে দিয়ে আসবেন বলেও বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। বস্তুত তাঁরই ব্যক্তিগত রাজনৈতিক সততা দিয়েই এই অভিযোগ খন্ডানোর চেষ্টা যে তিনি করছেন, সে কথা বিজেপির তরফে বলা হয়েছে। জানা গেছে, এক্ষেত্রে বিজেপির এক মুখপাত্রের কথায় মুখও পুরনো হয়ে যায়। সততার মুখোশের মধ্যে ভাঁওতা রয়েছে, সেকথা মানুষ বুঝে গিয়েছে বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।

তাঁর দাবি, রেশনের চাল চুরি হয়ে যাচ্ছে, আমফানের টাকা লুঠ হয়ে যাচ্ছে, কাটমানির ঠেলায় বাংলা অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে আর উনি কিছু জানেন না, এমন যে হয়না মানুষ সেটা বুঝে গিয়েছে বলেই তাঁর মত। সেই সঙ্গে তিনি এটাও বলেন যে মানুষ এও জেনে গিয়েছে কার প্রশ্রয়ে বাংলায় গুণ্ডা বদমায়েশদের এত রমরমা। ফলে বাংলা নতুন মুখ চাইছে। অন্যদিকে কিছুদিন আগেই বিজেপির এক দলনেতা দাবি করেছিলেন, শাসকদলের এক তরুণ নেতা নাকি বিজেপিতে যোগদান করতে চলেছেন।

এছাড়া খুব শীগ্রই নাকি তৃণমূলে ভাঙ্গন ধরবে বলেও জানান তিনি। বিধায়ক, নেতা, মন্ত্রী দলে দলে বিজেপিতে যোগ দেবেন বলেও জানান তিনি। তবে এক্ষেত্রে অমিত শাহকে বলতে শোনা যায়, যারা অন্য দল থেকে এসে বিজেপিতে যোগদান করবেন তাদেরকেও যোগ্য সন্মান দিতে হবে সকলকেই। মিলেমিশে কাজ করতে হবে একথাই স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!