এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > বেড না পেয়ে প্রাণ হারাতে হয়েছিল করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধকে! বাংলার তিন হাসপাতালকে মোটা জরিমানা

বেড না পেয়ে প্রাণ হারাতে হয়েছিল করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধকে! বাংলার তিন হাসপাতালকে মোটা জরিমানা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যের হাসপাতাল নার্সিংহোমগুলি যথেষ্ট তৎপরতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বলেই সরকারের তরফ থেকে জানান হয়েছিল। অন্যদিকে সরকারি নীতি অনুযায়ী বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাওয়ায় এবং হাসপাতালে এসে চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায়, উপসর্গহীন বা কম উপসর্গ থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করার নিদান দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যে সমস্ত রোগীদের বয়স বেশি বা তার সঙ্গে সঙ্গে তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রেসার বা সুগারের মত অসুখে ভুগছেন, তাদের ক্ষেত্রে অত্যধিক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন বলেই জানা যায়। তবে গত কয়েক মাস আগে এমনই এক মর্মান্তিক খবর পাওয়া গিয়েছিল, যা থেকে প্রশ্ন উঠেছিল যে আদৌ এমন বয়স্ক মুমূর্ষু রোগীর ক্ষেত্রে কোনো মানবিক স্থান কি আছে রাজ্যের হাসপাতাল নার্সিংহোমে।

ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ ছিল অলোকনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই সঙ্গে সংক্রমণ হয়েছিল করোনার বয়সটা ৩রা জুলাই রাতে তাই ৭৮বছরের সেই ফুসফুস ঠিকমতো কাজ করছিল না। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। সেইসঙ্গে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমছিল হু হু করে। এমন অবস্থায় অসুস্থ বাবাকে নিয়ে সেদিন রাতে কলকাতার তিনটি বেসরকারি হাসপাতালে ঘুরেছিলেন অসহায় মেয়ে। তবুও কোন বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে জায়গা হয়নি তাঁর বাবার। অবশেষে যার পরিণতি হয়েছিল মৃত্যু। আর সেই কারণেই রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন সেই হাসপাতাল গুলোকে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল বলে জানা যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ওই ব্যক্তির মেয়ের অভিযোগ অনুযায়ী, হাজার অনুরোধ করলেও কোনো হাসপাতালেই আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা করা হয়নি। কেউ অজুহাত দিয়েছে বেড নেই। আবার কেউ, ICU-তে রাখবেন বলেও নাকি জেনারেল বেডে শুইয়ে রেখেছিলেন তাঁর বাবাকে। অবশেষে তিন হাসপাতাল ঘুরে শেষমেশ ভোর চারটের সময় বৃদ্ধ অলোকনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভরতি করা হয় একবালপুরের এক নার্সিংহোমে, তখন অনেকটা দেরি হয়ে গেছে। ফলত তার চারদিন পর ৭ই জুলাই সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই বৃদ্ধের মেয়ে অভিযোগ জানান যে একটা ICU বেডে রাখা গেলে তাঁর বাবাকে হয়ত এভাবে চলে যেতে হতো না। পরে সেই অভিযোগ যায় স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের কাছে।

যেহেতু স্বাস্থ্য কমিশন তাঁদের অ্যাডভাইসরিতে আগেই বলেছিল যে, কোনও মূল্যেই কোনো মুমূর্ষু রোগীকে ফেরানো যাবে না। তবে তার সত্বেও কেনো এমন করা হল? এরপর হাসপাতালগুলি নিজেদের রক্ষার্থে সেই অভিযোগের বিরুদ্ধে অনেক যুক্তি দেখালেও, কমিশনের কাছে তা সমর্থনযোগ্য হয়নি বলেই জানা যায়। এরপর শুনানিতে গোটা ঘটনায় তিন হাসপাতালকেই দোষী সাব্যস্ত করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। তাই ঐ তিন হাসপাতালের বিরুদ্ধে মোটা টাকা জরিমানা দাবি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যাদের মধ্যে আনন্দপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালকে ১ লক্ষ টাকা এবং তপসিয়া ও গড়চার দুই বেসরকারি হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে বলেই জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!